সারা বাংলা

এক রশিতে দুই যুবকের ঝুলন্ত লাশ: নিতাইকে খুঁজছে পুলিশ

গাইবান্ধায় দুই যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি আত্মহত‌্যা না কি হত‌্যা, তা জানতে লাশ দুটির ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। এদিকে, যে গাছ থেকে ঝুলন্ত লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে, সেই গাছে লিখে রাখা একটি নাম নিয়ে রহস‌্য তৈরি হয়েছে। সেই নিতাইকে খুঁজছে পুলিশ।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রদীপ চন্দ্র নামের এক ব‌্যক্তিকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তার কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া গেছে কি না, তা এখনই জানাতে চাচ্ছে না পুলিশ।

বাদিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাফায়েতুল হক বলেছেন, ‘ওই দুই যুবককে হত্যা করা হয়েছে, না কি তারা আত্মহত্যা করেছে, তা নিয়ে এ মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে, তারাই ভালো বলতে পারবেন।’

গাইবান্ধা সদর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম বলেছেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’

নিহত যুবক মৃনাল চন্দ্র দাসের বাবা রাম চন্দ্র দাস বলেছেন, ‘আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন আগে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে তার তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল। এর জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে।’

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করেছেন মৃনালের বাবা রাম চন্দ্র দাস।

এদিকে, গাছে যার নাম লিখে রাখা হয়েছে, সেই নিতাই ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, দুই যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত অব‌্যাহত আছে। 

উল্লেখ‌্য, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের পাঠানডাংগা মাঝি পাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে একটি গাছে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দুই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলো—মৃনাল চন্দ্র দাস ও সুমন চন্দ্র দাস। লাশের পাশে তিন ব্যক্তির ছবি, ছুরি ও তাদের ব্যবহৃত ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

মৃনাল চন্দ্র দাস পাঠানডাংগা মাঝি পাড়া গ্রামের রামচন্দ্র দাসের ছেলে এবং সুমন চন্দ্র দাস চুনিয়াকান্দি গ্রামের নিতাই চন্দ্র দাসের ছেলে। তারা দুই দিন আগে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন।