সারা বাংলা

সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ, খুলনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সোনালী ব্যাংকের খুলনা করপোরেট শাখার ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. সালাউদ্দিন ও ব্যাংকের  গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) খুলনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শাওন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নথিভুক্ত হয়েছে।

খুলনায় দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মুজিবর রহমানও এসব তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. সালাউদ্দিন খুলনা সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখা থেকে ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ নেন। এ ঋণের বিপরীতে জামানত ছিল গোডাউনে রক্ষিত রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি। ব্যাংকের পক্ষ থেকে গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার ও  সাপোর্টিং স্টাফ আব্দুর রহিম বাবু গোডাউনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মো. সালাউদ্দিন  ব্যাংকের গোডাউন কিপারের যোগসাজসে ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। গভীর রাতে গোডাউন খুলে চিংড়ি বিক্রির প্রমাণ পান ব্যাংকের তৎকালীন ডিজিএম মো. আবু হোসেন শেখ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত)। এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

দুদকের এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মো. আব্দুর রহিম বাবু ব্যাংকের সিবিএ নেতা হওয়ায় তখনকার ডিজিএমকে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য হুমকি দেন। ব্যাংকের ডিজিএম  মো. আবু হোসেন শেখ সিবিএ নেতাদের চাপে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেননি। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন ঘটনার তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি মো. সালাউদ্দিন,  ব্যাংকের গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলাদার এবং ব্যাংকের স্টাফ আব্দুর রহিম বাবুসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

সোনালী ব্যাংকের খুলনা করপোরেট শাখার ডিজিএম শেখ শহিদুল ইসলাম মামলার কথা স্বীকার করে জানান, গোডাউন কিপার আব্দুল মান্নান হাওলদারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া, মামলার কপি পাওয়া গেলে অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অর্থঋণ আদালতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ঋণ খেলাপির মামলা দায়ের করা হয়েছে।