নাটোরের গুরুদাসপুরে নদীতে পানির স্রোতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সোঁতিজাল পেতে অবৈধভাবে মাছ শিকারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবীর। অভিযানে ১ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেনের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিয়াঘাট, হরদমা ও স্লুইসগেট এলাকার নদীতে অবৈধ সোঁতিজাল উচ্ছেদের অভিযান চালকালে ১৩টি চায়না দুয়ারী জাল ও খড়াজাল উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এ সময় ধাওয়া করলে পাশের সিংড়া উপজেলার কালীনগরের কিছু সোঁতিজাল মালিক পালিয়ে যায়। বিকেলে জব্দকৃত জালগুলো উপজেলা পরিষদের পুকুরপাড়ে এনে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। অভিযানে গুরুদাসপুর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবীর বলেন, সবাইকে মৎস্য সম্পদের গুরুত্ব, ভবিষ্যৎ চাহিদা, প্রাপ্যতা এবং যথাযথ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য মৎস্য সংরক্ষণ আইন মেনে চলতে হবে। নদীতে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে অবৈধ সোঁতিজাল স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী সরকারি দলের পরিচয়ে গুরুদাসপুর, সিংড়া, তাড়াশ ও চাটমোহর উপজেলার চলনবিলে অবৈধ সোঁতিজাল, বাদাইজাল, কারেন্টজাল, ধর্মজাল, খোড়াজাল দিয়ে পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করে আসছে দির্ঘদিন ধরে। তাদের প্রতিরোধ করতে চলনবিল সংস্লিষ্ট উল্লেখিত ৪ উপজেলা প্রশাসনের কম্বাইন্ড অপারেশন চালানো দরকার।