সারা বাংলা

পদ্মায় ফের ভাঙন

রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি কমার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এর ফলে আতঙ্কে রয়েছেন পদ্মা তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকেই সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চরসিলিমপুর এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, ইতিমধ্যে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৭০ মিটার এলাকার সিসিব্লক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে ভাঙন এলাকার ১০ গজের মধ্যে থাকা চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

স্থানীয় বাসিন্দা নাসরিন আক্তার বলেন, ভোর থেকেই যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, এতে করে আমাদের বাড়িঘর সব নদীতে চলে যাবে। আমরা গরীব মানুষ। কয়েকবার নদীতে আমাদের বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। এটাই এখন আমাদের শেষ ভরসা।

একই এলাকার আকলিমা বলেন, রাত থেকে আমরা ভয়ে ছিলাম নদীর স্রোতের জন্য। ভোর থেকেই দেখি ভাঙন। আমরা তো অসহায়। আমাদের যাওয়ার আর জায়গা নেই। আমাদের জমিজমা সব নদীতে চলে গেছে।

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা আফসার আলী বলেন, নদীর পাড়ের মানুষের দুঃখ আজীবনের। ভাঙনে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমাদের দেখার কেউ নেই।  

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমান আলী ফকির বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার পর আমরা স্কুলের কার্যক্রম শুরু করি। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসছিলো। কিন্তু ভাঙন শুরু হওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম। পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই স্কুলটি নদী গর্ভে চলে যাবে।  

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাসিমা বলেন, স্কুল বিল্ডিংটি নদীতে চলে গেলে আমাদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে। আরেক শিক্ষার্থী রুহুল বলেন, আমাদের স্কুলটা রক্ষা করা খুব প্রয়োজন। তা না হলে আমরা কোথায় পড়াশোনা করব? 

এ বিষয়ে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, পদ্মায় পানি কমার ফলে তীব্র স্রোতের কারণে কিছু এলাকার ব্লক পিচিং ধসে গেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাঠে আছে। তারা ভাঙনের জায়গায় বালি ভর্তি জিওব্যাগ ফেলছে।