অনুমতি ছাড়া স্কুলের শতবর্ষী গাছ কেটে নেওয়া সেই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গণি ভূঁইয়া বিরুদ্ধে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশের শীর্ষ স্থানীয় জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিতে শতবর্ষী গাছ কেটে নেতা বললেন, ‘আমি সভাপতি, কার অনুমতি নেবো’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। বুধবার বিকেলে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শিবলী সাদিক।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিনা আক্তারকে আহ্বায়ক, উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন সদস্য করে এই তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
ইউএনও মো. শিবলী সাদিক জানান, তিন সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটিকে আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে আইনগত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বোয়ালী উচ্চ ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষী দুটি জাম গাছ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গণি ভূঁইয়া কেটে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করেছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে বোয়ালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পটুসহ জমিদাতা আরও কয়েকজন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তবে তিনি প্রভাবশালী হওয়ার কারণে ভয়ে ওই দুই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেউই মুখ খোলেননি।
কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হলেও বর্তমান কমিটিতে প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে আছেন। তিনি উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের বোয়ালী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যষের সভাপতি ও বোয়ালী গ্রামের বাসিন্দা।
তবে নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের রেজুলেশন, উপজেলা পর্যায়ের কমিটির অনুমোদন সিদ্ধান্ত ও নিলাম বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তিনি নিজের একক ক্ষমতায় গাছ কেটে নেন।