কুষ্টিয়া সুগার মিলের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় এখন অনিশ্চিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০০ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জেলার একমাত্র ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া চিনিকলের উৎপাদনসহ সার্বিক কার্যক্রম বন্ধে সরকারি নির্দেশনার পর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে চলা কেএসএম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।
এতে হুমকিতে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রমও। চাকরি হারানোর শঙ্কায় শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টরা।
কেএসএম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই কুষ্টিয়া সুগার মিলের সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় তিনি চরম হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। নিজের চাকরি হারানোর শঙ্কা তার কাছে নগণ্য। কিন্তু স্কুলের ৩০০ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্কুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন।
শরিফুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় স্কুলের ভবিষ্যৎ খুব একটা উপলব্ধি করতে না পারলেও তারা চাইছে তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান টিকে থাক। আগের নিয়মেই চলুক স্কুলটি।
কেএসএম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা আরও জানান, পড়ালেখার মান বিবেচনায় বিদ্যালয়ের অবস্থান জেলায় অনেক ভালো। তাই বন্ধের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত না নিয়ে সরকারিকরণের মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রাখা যেতে পারে বলেও মত দেন তিনি।
কুষ্টিয়া সুগার মিলের মহাব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘স্কুলের বিষয়ে এখনো সদর দফতর থেকে কোন নির্দেশনা আসেনি। তবে নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম বহাল থাকবে।’