সারা বাংলা

সিনহা হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৮ সেপ্টেম্বর

কক্সবাজারের টেকনাফে আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার নির্ধারিত তৃতীয় ধাপের তিন দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। শেষ দিনে সাক্ষ্য দিয়েছেন সার্জেন্ট আয়ুব আলী, ডা. শাহীন আব্দুর রহমান ও হাফেজ সালেহ আহমেদ।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাঈলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এনিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে এই মামলার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

সাক্ষগ্রহণ শেষে বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল চলতি মাসের ২৮ এবং ২৯ তারিখ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। এ মামলায় ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে তিন দফায় আদালতে মোট ১৪ জন সাক্ষ্য দিলেন।

আদালতে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, '২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দফায় টানা তিনদিন সাক্ষ্যগ্রহণের পর এ পর্যন্ত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৮ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। আশা করি খুব দ্রুত বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে।'

চলতি বছরের গত ২৭ জুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। তার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন, সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তার 'ইউটিউব ভিডিও' দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করে পুলিশ। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এই দুজন পরে জামিনে মুক্তি পান।

সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।