সারা বাংলা

ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’: কক্সবাজারে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ এর প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র কিছুটা উত্তাল রয়েছে। তবে বাতাসের চাপ কিংবা সাগরের পানির উচ্চতা স্বাভাবিক রয়েছে।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান রাইজিংবিডিকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মো. আব্দুর রহমান জানান, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় গুলাবের কারণে কক্সবাজারকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এটি বর্তমানে কক্সবাজার থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে এবং ধীরে ধীরে মোংলা, খুলনা সাতক্ষীরাসহ ভারত উপকূলের দিকে চলে যাচ্ছে। গুলাবের প্রভাব কক্সবাজারে পড়বে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় হালকা অথবা মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে।

এদিকে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের আনাগোনা প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিক রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, কলাতলী, সুগন্ধা এবং লাবণী বিশেষ করে এই তিনটা পয়েন্টে বিভিন্ন ধরনের প্রচার অভিযান চালানো হয়েছে। এখন থেকে পর্যটকরা সমুদ্রস্নান কিংবা পানিতে নামার আগে প্রশাসনের দেওয়া নির্দেশনা ও সময়সূচি মেনে সমুদ্র সৈকতে নামবেন। এসময় তিনি পর্যটকদের সহযোগিতার আহ্বান জানান।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নামার আগে পর্যটকদের ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেগুলো হলো—

১. সাঁতার না জানলে সমুদ্রের পানিতে নামার সময় লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করতে হবে।  ২. লাল পতাকায় চিহ্নিত করা পয়েন্টে কোনোভাবে নামা যাবে না।  ৩. সৈকত এলাকায় সবসময় লাইফগার্ডের নির্দেশনা মানতে হবে।  ৪. বিকেল ৫টার পর সমুদ্রে নামা যাবে না।  ৫. সমুদ্রে নামার আগে জোয়ার-ভাটাসহ আবাহাওয়ার বর্তমান অবস্থা জেনে নিতে হবে। ৬. লাইফগার্ড নির্দেশিত নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্যকোনো পয়েন্ট থেকে সমুদ্রে নামা যাবে না। ৭. সমুদ্রে যেকোনো মুহূর্তে তীব্র স্রোত এবং গর্ত সৃষ্টির বিষয়ে জানতে হবে। ৮. যেকোনো ভাসমান বস্তু নিয়ে পানিতে নামার আগে বাতাসের গতি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। ৯. শিশুকে সৈকতে সব সময় সঙ্গে রাখতে হবে এবং তাকে একা সমুদ্রে নামতে দেওয়া যাবে না। ১০. অসুস্থ অথবা দুর্বল শরীর নিয়ে সমুদ্রে হাঁটু পানির বেশি নামা যাবে না।