সারা বাংলা

বগুড়া জিলা স্কুলের ১ শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত

বগুড়া জিলা স্কুলের একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ওই স্কুলের দশম শ্রেণির অপর একজন শিক্ষার্থীর দাদা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় তিনি তার পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুই শিক্ষার্থীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মুস্তফী।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ১৭ মাস স্কুল বন্ধ ছিল। গত ১২ সেপ্টেম্বর সরকারি নির্দেশনা মেনে স্কুল খোলা হয়। স্কুল খোলার পর থেকেই দুই শিক্ষার্থী অন্য সবার মতো ক্লাসে যোগ দেয়। তবে কয়েক দিন ধরে তারা শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিত ছিল। শ্রেণি শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এক শিক্ষার্থীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। তিনি আরো জানতে পারেন অপর শিক্ষার্থী নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর নমুনা পরীক্ষা করাই। ২০ সেপ্টেম্বর করোনা পজিটিভ আসে। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত আমার ছেলের ঘ্রাণশক্তি ছিলো না।  তবে এখন সে যথেষ্ঠ সুস্থ। ’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী।’

অপর শিক্ষার্থীর বাবা মোজাহারুল ইসলাম জানান, তার বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। যে কারণে তারাও করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন।  এমন শঙ্কা থেকে তারা সবাই বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। ১৪ দিন আইসোলেশনের পর তারা করোনা পরীক্ষা করাবেন।’

বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মুস্তফী বলেন, ‘যে দুই শিক্ষার্থীর কথা বলা হচ্ছে এদের মধ্যে একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং একজন দশম শ্রেণির ছাত্র। তারা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আর স্কুলে আসেননি। এরপর দুই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত কেন জানার জন্য তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় আমরা এক শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত এবং অপরজন আইসোলেশনে আছেন বলে জানতে পারি। বৃহস্পতিবার ২৩ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হই।’

তিনি আরো বলেন, ‘করোনা পজিটিভ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সংক্রমণ যাতে অন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে না ছড়ায়, এজন্য স্কুলের পক্ষ থেকে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখনো আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। করোনা মোকাবিকাল সরকার থেকে যেসব দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে আমরা সেগুলো খুব ‍গুরুত্বের সঙ্গে পালন করছি। ’

বগুড়া ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন ঘটনার বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত শিক্ষার্থী বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যজন আইসোলেশনে আছেন। ’