সারা বাংলা

নরসিংদীতে ৩৫৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি 

শিউলি ঝরা শরতে নরসিংদীতে এখন শারদীয় দুর্গোৎসবের আবহ। প্রতিমা শিল্পীরা দিন-রাত রং আর তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলছেন দেবী দুর্গার একেকটি রূপ।

উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে পূজামণ্ডপগুলো নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। এ পূজাকে কেন্দ্র করে পুলিশ প্রশাসনও সকল ধরনের সতর্কতামূলক প্রস্তুুতি নিয়েছে। 

পূজা আয়োজক সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে এই উৎসব।  সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দেবী দুর্গাকে বরণ করতে প্রস্তুুত।  দেবীর বোধন আমন্ত্রণ অধিবাস দিয়ে শুরু হয়ে ১৫ অক্টোবর সিঁদুর উৎসবের মধ্যে দিয়ে এবারের দুর্গাপূজা শেষ হবে। তবে সরকারি নিদের্শনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি মন্দির প্রাঙ্গনে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

পূজা উদযাপন পরিষদ জানায়, এ বছর নরসিংদীর ৬টি উপজেলায় ৩৫৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। এর মধ্যে নরসিংদী সদরে ৯৯টি, মনোহরদীতে ৫১টি, রায়পুরায় ৬৭টি, বেলাবতে ২৩টি, পলাশে ৪৬টি ও শিবপুরে ৭০টি। 

গত বছর জেলায় ৩৩৫টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ বছর আরো ২১টি মণ্ডপ বেড়েছে।

নরসিংদীর হাজীর দাসপাড়ায় প্রতিমা শিল্পালয় গিয়ে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তে এখন চলছে প্রতিমাগুলোতে রঙের প্রলেপ ও অঙ্গসজ্জার কাজ। প্রতিমা শিল্পী সুশীল পাল বলেন, এ বছর তিনি ২২টি প্রতিমা তৈরি করেছেন। ইতোমধ্যে ২০টি প্রতিমা বিক্রি করে দিয়েছেন। পূজার শুরু হওয়ার ২/৩দিন আগে এগুলো তারা ডেলিভারি নিবেন।

বিশ্বকর্মা প্রতিমা শিল্পালয়ের সঞ্জিত পাল বলেন, এই মুহূর্তে দম ফেরার সুযোগ পাচ্ছি না। তাদের এখানে ৩০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকায় প্রতিমা বিক্রি হয়েছে। প্রতিমা তৈরি করতে বাঁশ, কাঠ, খড়, তারকাটা, সুটলি, মাটি ও রঙের দাম বৃদ্ধির তুলনায় আমরা দাম পাচ্ছে না। কারিগরের বেতন ও কারখানার ভাড়াও বেশি।

নরসিংদী পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সুব্রত কুমার দাস জানান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নির্দেশনা অনুযায়ী নরসিংদীর সকল মণ্ডপের সভাপতিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এবছরও গতবছরের মতো স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে পূজা উৎসব পালন করা হবে।