সারা বাংলা

ঠাকুরগাঁওয়ে সাড়ে ২৯ বস্তা অবৈধ বিড়ি আটক, ১৫ বস্তা উধাও

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা জগন্নাথপুর এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ২৯ বস্তা অবৈধ বিড়ি আটক করেছে স্যানেটারি দপ্তর।

শুক্রবার (০১ অক্টোবর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা জগন্নাথপুর পরিষদে হেফাজতে থাকা আটককৃত সেই সাড়ে ২৯ বস্তা থেকে ১৫ বস্তা বিড়ি সরিয়ে ফেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তথ্যসূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁও স্যানেটারি ইন্সেপেক্টের অফিসার ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল জগন্নাথ বাসুদেবপুর এলাকার জতীশের বাড়ি থেকে কর ফাঁকি দেওয়া অবৈধ সাড়ে ২৯ বস্তা বিড়ি আটক করে। পরে আটককৃত অবৈধ বিড়ি জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদে হেফাজতে রাখা হয়।

কিন্তু শুক্রবার পরিষদ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান আলাল মাস্টার ও স্যানেটারি ইন্সেপেক্টর ফারুক হোসেন আটককৃত ১৫ বস্তা বিড়ি জতীশের সহযোগী নুকুলকে দিয়ে দেয়। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

ইউপি সদস্য বাবুল অভিযোগ করে বলেন, ‘অবৈধ আটকৃত ১৫ বস্তা বিড়ি কিভাবে ফেরত দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে চেয়ারম্যান সঠিক উত্তর দিতে বা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। অবৈধ লেনদেন ও যোগসাজশে ওই ১৫ বস্তা বিডি ফেরত দিয়েছেন বলে ইউপি সদস্য দাবি করেন।’

এই বিষয়ে জতীশ ও সহযোগী নুকলের সাথে যোগাযোগ করা হলে দুজনেরই নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ইউপি সদস্য বাবুলের সাথে নুকুলের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড পাওয়া গেছে। যেখানে এই নুকুল অর্থ লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করেছে।

জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলাল মাস্টার জানান, আটককৃত বিড়ি স্যানেটারি অফিসার পরিষদে হেফাজতে রেখেছিল। এর মধ্যে কিছু বিড়ির বৈধতা থাকার কারনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বৈধতার কাগজপত্র রয়েছে কিনা চেয়াম্যানের কাছে দেখতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।

ঠাকুরগাঁও স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ফারুক হোসেন জানান, সরকারি কর ফাকি দেওয়ায় অবৈধ সাড়ে ২৯ বস্তা বিড়ি আটক করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা। ১৫ বস্তা বিড়ি উধাও হওয়ার বিয়ষটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেরত দেওয়া ১৫ বস্তা বিড়ির প্যাকেটে ব্যান্ড রোল থাকায় ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাকি বস্তা গুলো আটক রয়েছে।

তবে সেই অবৈধ মালের মালিকের বিরুদ্ধে কেনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে স্যাঃ ইন্সপেক্টর ফারুখ হোসেন এই বিষয়ে নিজের ভুল স্বীকার করেন।