সারা বাংলা

গভীর রাত পর্যন্ত মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি 

পটুয়াখালীতে মাইকিং করে গভীর রাত পর্যন্ত ইলিশ বিক্রি করেছে বিক্রেতারা।

রোববার (৩ অক্টোবর)  রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মৎস্য বন্দর আলীপুর, মহিপুর ও কলাপাড়াসহ উপজেলার অধিকাংশ মাছ বাজারে চলে এ ইলিশ বিক্রি।

রোববার মধ্যরাত থেকে নদী ও সাগরে ইলিশ ধরা ও বিক্রির ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় গভীর সমুদ্র থেকে ইলিশ ভর্তি ট্রলার এসে পৌঁছায় মৎস্য বন্দরগুলোতে। নিষেধাজ্ঞার এমন খবরে বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ছিলো উপচে পড়া ভিড়। তবে ক্রেতাদের দাবি প্রতিবছরের ন্যায় এবছর ইলিশের দাম ছিলো তুলনামূলক বেশি। এদিকে, গতকাল রাত থেকেই মা ইলিশ রক্ষায় সাগর ও নদীতে অভিযান শুরু করেছে মৎস্য বিভাগ।

মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, মা ইলিশ রক্ষায় প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। আজ রোবরার মধ্যরাতে থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সাগরে ইলিশ ধরবে না জেলেরা। এমনকি আহরণ, পরিবহন ও মজুদকরণের ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে শেষ দিনের মতো বাজারে ইলিশ বেচাকেনায় ধুম পড়েছে। ৪৫০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া ৭৫০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, ৯০০-৯৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০-৮০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।

মৎস্য বন্দর মহিপুরের ইলিশ বিক্রেতা মনির হোসেন জানান, সন্ধ্যার পরে অধিকাংশ ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে এসে ঘাটে পৌঁছায়। ফলে তুলনামূলক কম দামে মাছ বিক্রি করতে হয়েছে। ছোট সাইজের ইলিশ (জাটকা) এক কেজি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। দুদিন আগেই ছোট মাছ বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা কেজি দরে।

খলিল মুন্সী নামে অপর এক ব্যবসায়ী জানান, ইলিশ মজুদ করার কোনো সুযোগ নেই। তাই লস দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

কলাপাড়া বাজারে ইলিশ কিনতে আসা ইউসুফ জানান, গত বছর অবরোধের আগের দিনে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ক্রয় করেছি ৭শ টাকা কেজি দরে। কিন্তু এবছর কিনতে হয়েছে ১২শ টাকায়।

অপর এক ক্রেতা সাইফুল জানান, মাইকের শব্দ শুনে বাজারে ইলিশ কিনতে এসেছি। কিন্তু গতবারের তুলনায় এবছর দাম অনেকটা বেশি ছিলো।

কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, এবছর সাগরে জেলেদের জালে কম সংখ্যক ইলিশ ধরা পড়েছে। তারপরও মা ইলিশ রক্ষায় প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন অবরোধ পালনের লক্ষ‌্যে সব ট্রলারই ঘাটে এসে পৌঁছেছে। বর্তমানে মহিপুর-আলীপুর আড়ৎ ঘাটে হাজার হাজার ট্রলার নোঙ্গর করা রয়েছে।

উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, রাত ১২টার পর কোনো ইলিশ বেচাকেনা করা যাবে না। এছাড়া ইলিশ আহরণ,পরিবহন ও মজুদকরণের উপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অবরোধ সফল করতে সাগর ও নদীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান শুরু করেছি।