কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় অসহায় এক তরুণীকে ধর্ষণের মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে ভুক্তভোগী ওই তরুণী তার বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়ার প্রতিবাদে স্বজনদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। প্রতিকার না পেলে অপবাদ দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের হুমকি দিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই তরুণী বলেন, ‘আমি মুরাদনগর উপজেলার বাসিন্দা। সোমবার (২৭ অক্টোবর) আমাকে জড়িয়ে বেশ কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায়— মুরাদনগর থানায় ধর্ষণের মামলা, ৮০ হাজার টাকায় রফাদফা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বাস্তবে মুরাদনগর থানায় এ ধরনের টাকা পয়সা লেনদেন এবং রফাদফার ঘটনা ঘটেনি।’
ওই তরুণী বলেন, ‘আমার প্রবাসী মামাতো ভাই শাহীনের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার প্রেমের সম্পর্ক হয়। দেশে এসে তিনি আমাকে বিয়ে করার আশ্বাস দেন। কিন্তু আমাকে বিয়ে না করে অন্যত্র বিয়ে করায় আমি ক্ষুব্ধ হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পরে পারিবারিক উদ্যোগে এলাকার লোকজন বিষয়টি আপোষ-মীমাংসা করেন। এতে আমি সন্তুষ্ট হয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছি। থানা পুলিশের কোনো যোগসূত্র নেই এই ঘটনার সঙ্গে। এছাড়াও অভিযোগ দায়েরের সময় আমি কোথাও আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ করিনি।’
ওই তরুণী আরও বলেন, ‘বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইনে আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে যে কথা লেখা হয়েছে, তাতে আমার সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। এছাড়াও মনগড়া ওই সংবাদে আমাদের কারও বক্তব্য নেওয়া হয়নি। গণমাধ্যমের ভিত্তিহীন সংবাদে আমার জীবনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে। আমি এ ঘটনার প্রতিকার চাই, না হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেব।’
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, ওই তরুণী তার মামাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেটি কোনো ধর্ষণের অভিযোগ নয়। মামাতো ভাই আর ফুফাতো বোনের নিছক এক ভুলবোঝাবুঝির অভিযোগ। পরে বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করার আগেই তারা বিষয়টি সুরাহা করে আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া ওই তরুণী তার দায়ের করা অভিযোগও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি মোটেও সত্য নয় বলে জানান ওসি সাদেকুর রহমান।