সারা বাংলা

মুহিবুল্লাহ হত্যা: ৩ আসামির রিমান্ড শুনানি আজ

রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর চেয়ারম্যান মাস্টার মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ৫ আসামির মধ্যে ৩ জনকে আদালতে তোলার জন্য কোর্ট হাজতে আনা হয়েছে।

বুধবার (৬ অক্টোবর) তাদের রিমান্ড শুনানির কথা রয়েছে। তারা হলেন— উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান, আব্দুস সালাম ও মো. ইলিয়াস।

এর আগে রোববার (৩ অক্টোবর) ২ আসামি মোহাম্মদ সেলিম ওরফে লম্বা সেলিম (৩৩) ও শওকত উল্লাহকে (২৩) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত।

বুধবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসামি জিয়াউর রহমান, আব্দুস সালাম ও মো. ইলিয়াসকে কোর্ট হাজতে আনা হয় এবং সাড়ে ১১টার দিকে রিমান্ড আবেদন শুনানির জন্য তাদের আদালতে তোলার কথা রয়েছে।

কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক দেলোয়ার হোসেন শামীম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে অবস্থানকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে উখিয়া থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়। যার বাদী নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৬ থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত সন্দেহে মোহম্মদ সেলিম (৩৩) (প্রকাশ লম্বা সেলিম) নামে একজনকে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) সদস্যরা  গ্রেপ্তার করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করে।

শনিবার (২ অক্টোবর) ভোররাতে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালাম নামের আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করে ১৪ এপিবিএন। ওইদিন বিকেলে উখিয়া থানা পুলিশ শওকত উল্লাহ (২৩) কে কুতুপালং ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করে। এ পর্যন্ত মুহিব্বুল্লাহ হত্যার ঘটনায় এপিবিএন চারজন এবং উখিয়া থানা পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।