সারা বাংলা

স্কুল সভাপতির বিরুদ্ধে ঘুষি মেরে শিক্ষকের দাঁত ফেলে দেওয়ার অভিযোগ 

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ঘুষিতে প্রধান শিক্ষকের তিনটি দাঁত পড়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বগুড়ার নন্দীগ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার কুমিড়াপন্ডিত পুকুর বাজারে তার সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। 

অভিযোগকারী সাজ্জাদুল ইসলাম দুদু ভর তেতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুলের স্ত্রী কোষাশ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মঞ্জুয়ারা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলার কোষাশ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ছিলো। মিটিংয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামিম হোসেন লিটন ৪ জন শিক্ষক নিয়োগের বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে রাগারাগি করে। এক পর্যায়ে সভাপতি শামিম নোটিশ খাতা ছিঁড়ে ফেলে মিটিং না করেই বিদ্যালয় থেকে চলে যান। বিষয়টি তার স্বামী সাজ্জাদুলকে জানালে ওই দিন সন্ধ্যায় তার স্বামী কুমিড়া পন্ডিত পুকুর বাজারে লিটনের দোকানে যান। এ সময় লিটনের কাছে নোটিশ খাতা ছিঁড়ে ফেলার কারণ জানতে চাইলে তাদের দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তার স্বামীকে লিটন মারধর করেন এবং মুখে ঘুষি মারেন। এতে তার স্বামীর সামনের তিনটি দাঁত পড়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সকালে তাকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কোষাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামিম হোসেন লিটন বলেন, ‘সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুর সঙ্গে আমার হাতাহাতি হয়েছে। তিনি দোকান থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার সময় কলাপসিবল গেটে ধাক্কা লেগে দাঁত পড়ে যায়।’

নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, এরকম একটি ঘটনা জানিয়ে প্রধান শিক্ষক একটা অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।