সারা বাংলা

পদ্মায় ইলিশ শিকার, ২৮ জেলের কারাদণ্ড

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকার করায় ২৮ জেলেকে ২১ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ শুক্রবার (৮ অক্টোবর) ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত জাজিরার পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাফে মোহাম্মদ ছড়া তাদের কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাফে মোহাম্মদ ছড়া জানান, বছরের এই সময়টা ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুম। এ সময় ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার জন্য সমুদ্র থেকে নদীর মিঠা পানিতে আসে। এ কারণে পদ্মা নদীতে ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চালাচ্ছে মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন। এই ২২ দিন জেলেদের  ইলিশ মাছ শিকার, বিক্রি, মজুদ, পরিবহন বন্ধ করেছে সরকার। জেলেদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণও এই নিয়মের আওতায় থাকবে। এ সময় কোনো জেলে নদীতে জাল ফেলতে পারবে না।

তিনি জানান, অভিযানে ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ২০ কেজি ইলিশ মাছ এবং একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার জব্দ করা হয়। জব্দকৃত কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়। ২০ কেজি ইলিশ মাছ স্থানীয় দুটি এতিমখানা এবং মাদ্রাসায় দেওয়া হয়েছে। 

ইলিশ রক্ষায় প্রশাসনের অভিযান আরও বেগবান করা হবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাফে মোহাম্মদ ছড়া। 

শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার জানান, শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা থেকে গোসাইরহাটের নলমুরী পর্যন্ত ৭১ কিলোমিটার পদ্মা ও মেঘনা নদী। গত চার দিনে মৎস্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও র‌্যাব-৮ নদীতে ৪৬টি যৌথ অভিযান চালিয়েছে। তখন ১১টি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩১ ব্যক্তিকে কারাদণ্ড, ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা জরিমানা ও ৩৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।