সারা বাংলা

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ট্রাকের দীর্ঘ সারি

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে ড্রেজিং এবং রো রো ফেরির জন্য পর্যাপ্ত ঘাট না থাকায় গত কয়েক দিন ধরে তৈরী হওয়া যানজট আজও রয়েছে।  তবে যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, পচনশীল দ্রব্য পরিবহনকারী ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার হলেও বিপাকে পড়েছে অপচনশীল দ্রব্য পরিবহনকারী ট্রাক এবং কাভার্ড ভ্যান গুলো। দীর্ঘ যানজটে থাকতে হচ্ছে এসব যানবাহনকে।

শনিবার (৯ অক্টোবর) দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার যানবাহনের সারি রয়েছে। এছাড়াও দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে ১৩.৫ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড়ে ঢাকা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই কিলোমিটার অংশ জুড়েও রয়েছে কাভার্ড ভ্যান ও অপচনশীল দ্রব্য পরিবহনকারী ট্রাকের সারি।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে আসা ট্রাক ড্রাইভার রহিম মোল্লা বলেন, দীর্ঘযানজটে বসে থাকতে থাকতে ক্লান্তি চলে আসছে। এরপর গাড়ি চালাতে গেলে চোখে ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে। আর এর ফলে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

বরিশাল গৌরনদী থেকে আসা কাভার্ড ভ্যান চালক ইউসুফ মিয়া বলেন, ‘গত রাত ১২টার দিকে ঘাট এলাকায় এসে পৌঁছাইছি। থেমে থেমে গাড়ি আগাচ্ছে।  আমরা ঘুমাতে বা বিশ্রাম নিতেও পারতেছি না। আবার আমাদের খাবার এবং শোচাগারের ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’

কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে আসা গ্যাস সিলিল্ডার বোঝাই ট্রাক চালক কুদ্দুস মন্ডল জানান, দীর্ঘসময় আমরা এই জ্যামে বসে আছি।  গত রাতে ঘাট এলাকায় এসে পৌঁছালেও এখনো ফেরিতে উঠতে পারি নি।  আর রাতের বেলায় ঢাকা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে এমন নির্জন জায়গায় খোলা আকাশের নিচে আমাদের মালামাল চুরির শঙ্কায় থাকি।  নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত বলেও মনে হয় না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, এই নৌ-রুটে আজ ছোট বড় মিলিয়ে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে।  চারটি ঘাট চালু রয়েছে। তবে বড় রো রো ফেরির জন্য মাত্র ২টি ঘাট রয়েছে। রো রো ফেরির জন্য ঘাট সংখ্যা বাড়ালে ঘাটে গাড়ির সিরিয়ালের সংখ্যাও কমে যাবে বলে মনে করি।