সারা বাংলা

বিরামপুরে অ্যাকোয়া থিম বিনোদন পার্ক

দর্শনার্থী ও বিনোদন প্রেমীদের জন্য ৪০ বিঘা জমির উপর নির্মাণ হচ্ছে অ্যাকোয়া থিম বিনোদন পার্ক। দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মির্জাপুর মহাসড়ক ঘেঁষে পার্কটি নির্মাণ হচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু এর কর্ণধার। আগামী ডিসেম্বরে পার্কটি আনুষ্ঠানিকভাবে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে। জানা গেছে, এখানে প্রায় হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

অ্যাকোয়া থিম বিনোদনকেন্দ্রটি ঘুরে জানা যায়, দুই বছর আগে শুরু হয় পার্কটির নির্মাণ কাজ। ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, আগামী আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে বাঁকি কাজ সম্পূর্ণ হবে। বিনোদন পার্কটি দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কের বিরামপুরে তৈরি হচ্ছে। যেখানে সহজেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থী ও বিনোদনপ্রেমীরা আসতে পারবে।

নির্মাণ হচ্ছে প্রধান গেট, সেখানে থাকবে পানির ফোয়ারা। পার্কে গাড়ি পার্কিং, চলাচলের সুন্দর রাস্তা তৈরি হয়েছে। শিশুদের জন্য রয়েছে আধুনিক বাইটস, দোলনা, স্নাইড ও স্নিপার সাইকেল খেলনা। ছোট-বড় সবার জন্য সুইমিংপুলসহ কটেজ আছে তিনটি। তবে সুমিংপুল ও ওয়েব পুলের কাজ চলমান। লেকের সঙ্গে আছে পেটেল ও স্পিড বোর্ড এবং পানির ফোয়ারা। পুরো পার্কে রয়েছে কার্পেট বিছানো রাস্তা। দুপাশে আছে বিভিন্ন জাতের ফুল আর পাতাবাহারের গাছ। দেখলে প্রকৃতিপ্রেমীরা মুগ্ধ হবেন। 

পার্কের রাস্তা এবং গাছের নিচে আছে বসার চেয়ার। বিনোদন কেন্দ্রটির বিভিন্ন স্থানে আছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, জেব্রা, বনমানুষ, ঘোড়া, কুমির, জলপরী, পরী ও নারীসহ বিভিন্ন জীবজন্তুর মূর্তি, যা দেখে সহজেই আকৃষ্ট হবেন আগতরা। 

কর্তৃপক্ষ আড়াই থেকে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করবেন পার্কটি। এখন পর্যন্ত ৯০ লাখ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। দেড় থেকে ২ কোটি টাকার কাজ বাকি আছে। কয়েকটি ব্যাংক ঋণ নিয়েও কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। 

পার্কের ইঞ্জিনিয়ার হামিদ উদ্দিন বলেন, ‌‘আমি এখানে প্রায় ১৮ মাস থেকে কাজ করে আসছি। এই পার্কের সব ডিজাইন, গ্রিল ও সুইমিংপুলের কাজ করছি।’

পার্কের মালি মিজানুর রহমান বলেন, ‘পার্কে বিভিন্ন প্রকার ফুল ও পাতাবাহারের গাছ লাগাচ্ছি। এখানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের ফুল ও পাতাবাহারের গাছ লাগিয়েছি। পার্কটিকে দৃশ্যমান করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি।’

পার্কের জেনারেল ম্যানেজার নজির উদ্দিন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বিরামপুর একটি বড় শহর। বাংলাদেশের যে কোনো স্থান থেকে আসা সহজ। কিন্তু এখানে তেমন কোনো বিনোদন পার্ক নেই। তাই কর্তৃপক্ষ মানুষের বিনোদনের জন্য এই পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বিনোদন কেন্দ্রটি একেবারে মহাসড়ক সংলগ্ন, সহজেই সবাই আসতে পারবেন। গাড়ি রাখার সুব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও এই পার্কের এমডি খায়রুল আলম রাজু মহোদয়ের আগামীতে একটি উন্নতমানের হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।’