ফরিদপুরের সরকারি শিশু পরিবার কেন্দ্রে নিরাপদ আশ্রয়ে পরম যত্নে প্রতিপালিত হচ্ছে দরিদ্র, অনাথ ও এতিম শিশু।
বর্তমানে এই কেন্দ্রে বেড়ে উঠছে ১৭৫জন শিশু। কেন্দ্রে রয়েছে শিশুদের জন্য অত্যাধুনিক ও সুসজ্জিত আবাসিক হল, দৃষ্টিনন্দন ক্লাস রুম, শিশুদের পড়া-লেখার পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে কম্পিউটার ও সেলাই প্রশিক্ষণ, সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য আছে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সকল সুযোগ সুবিধা।
১৯৬১ সালে ১১ একর জমির উপরে ফরিদপুর শহরের টেপাখোলায় প্রতিষ্ঠিত হয় সরকারি এতিমখানা। এরপর এতিমখানা রূপান্তর হয় সরকারি শিশুসদনে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে নামকরণ হয় সরকারি শিশু পরিবার। পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তর।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, সরকারি শিশু পরিবার কেন্দ্রের শিশুদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি করা হয়।
জেলা প্রশাসক জানান, শিশুদের জন্য এখানে রয়েছে সরকারি ব্যবস্থাপনায় উন্নতমানের খাবার, পোশাক, সুচিকিৎসা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও ‘বঙ্গবন্ধু’ কর্ণার।
জেলা প্রশাসক বলেন, সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে নানাবিধ সুবিধার মধ্যে বেড়ে ওঠা শিশুরা ভুলেই গেছে নিজেদের বাড়ির কথা। মনের আনন্দে পড়া-লেখার করছে তারা।
সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) এর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, আমরা খুব ভালো আছি এখানে। পড়া-লেখার পাশা-পাশি সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি আমরা। যা হয়তো আমাদের পরিবারে পেতাম না।
ফরিদপুর সরকারি শিশু পরিবারের সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ নূরুল হুদা জানান, এখানে ১৭৫ জন এতিম নিবাসী রয়েছে। যাদের অভিভাবক রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের পক্ষে আমরা দেখভাল করে থাকি। আমরা তাদেরকে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য যে যে সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার আমরা তা করে যাচ্ছি। তারা যাতে ভাল মানুষ হিসাবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে আমরা সে লক্ষে কাজ করছি।
ফরিদপুর জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএসএম আলী আহসান বলেন, একজন শিশুকে স্বাভাবিক ও সুন্দর জীবনে বেড়ে উঠতে যে সকল সুযোগ সুবিধার দরকার হয় আমরা তার সবটুকু সরকারি ব্যবস্থাপনা দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, এই শিশুদের জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক ডাইনিং হল, লাইব্রেরি, ইনডোর গেমস, টিভি রুম, মাল্টিপারপাস হল রুম, মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ ক্লাসরুম, কম্পিউটার ল্যাব, সিক রুম, জসিম মঞ্চ, অপেক্ষালয়, প্রেয়ার রুম, সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যবস্থা।