বাগেরহাটে ঠিকাদারকে গুলির মামলায় দুলাল আকন (৩৮) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (০৯ অক্টোবর) ভোররাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকা থেকে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে দুলালকে আটক করে।
রোববার (১০ অক্টোবর) সকালে দুলালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার বাড়ির পাশের বাগান থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে শনিবার (৯ অক্টোবর) রাতে গুলিবিদ্ধ ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম মনকের বড় ভাই কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে দুলাল আকনসহ ২ জনের নামে মামলা করেন। মামলায় দুলাল আকনের মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ার কারণে এই হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন কামরুল ইসলাম।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার দুলাল আকনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও বলেন, দুলাল আকন বাগেরহাট শহরের কৃষ্ণনগর এলাকার শাহজাহান আকনের ছেলে। দুলালের নামে বাগেরহাট মডেল থানায় মাদক ও মারামারিসহ ১১টি মামলা রয়েছে। ঠিকাদারকে গুলির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া দুলালের দেওয়া তথ্য মতে তার বাড়ির পাশের বাগান থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার (০৮ অক্টোবর) রাতে বাগেরহাট শহরের কৃষ্ণনগর এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে সিরাজুল ইসলাম মনককে (৪৫) গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এতে তার বাম পায়ে গুলি লাগে। আহত সিরাজুল ইসলাম মনককে প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঠিকাদার মনক বাগেরহাট শহরতলীর কৃষ্ণনগর এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। মনক দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট গণপূর্ত, এলজিইডিসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ করে আসছেন।