সারা বাংলা

সাভারের একটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

সাভারের আশুলিয়ার একটি বাড়িতে খালি গায়ে প্রবেশ করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা ধারালো অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকদের জিম্মি করে ও হাত পা বেঁধে রেখে স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে আশুলিয়ার কুঁরগাও এলাকার ঢাকা কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির মো. শাহজাহানের দুইতলা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

বাড়ির মালিক মো. শাহজাহান বলেন, ‘আমার দুই ছেলে তাদের স্ত্রী নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। আমি ও আমার স্ত্রী এ বাড়িতে থাকি। কয়েকদিন আগে আমার নাতনি ও তার জামাই তাদের বাচ্চাকে নিয়ে আমার বাড়িতে বেড়াতে আসে। বুধবার ভোরে হঠাৎ বাড়ির ভেতরে অনেকজন লোক ঢুকে পড়ে। তারা আমাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে সবাইকে একটি রুমের মধ্যে নিয়ে আটকে হাত, মুখ ও চোখ বেঁধে ফেলে। এ সময় ডাকাতরা নগদ প্রায় আড়াই লাখ টাকা ও প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণ লুট করে পালিয়ে যায়। পরে সকালে জানালার গ্রিল কাটা অবস্থায় দেখতে পাই।’

মো. শাহজাহানের নাতনী ফারিহা প্রান্তা বলেন, ‘আমাদের সবার সামনে ওরা অস্ত্র ধরে রেখেছিলো। শব্দ করলেই আমার শিশুকে ক্ষতি করার হুমকি দিচ্ছিলো বারবার। পরে আমার নানীর হাতের দুই ভরির স্বর্ণের চুরি, চেইন ও আংটি নিয়ে নেয়। ডাকাতরা বারবার আমার বড় মামা সোহেলকে খুঁজছিলো। উপরতলার তার রুমে গিয়েও খোঁজ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ডাকাতরা সবাই যুবক বয়সের ছিলো। তারা খালি গায়ে ছিলো। মাস্ক দিয়ে তারা নিজেদের মুখ ঢাকে রেখেছিল। সবার পিঠেই ব্যাগ ছিলো।’

ঢাকা কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান ভূঁইয়া বলেন, এ সোসেইটিতে প্রায় ১০০ পরিবার বসবাস করেন। আগে নিরাপত্তার জন্য আনছার সদস্যরা থাকলেও এখন নেই। ফান্ডের অভাবে আনছারদের খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। সোসাইটিতে ঢোকার তিনটি বড় রাস্তায় কেবল তিনজন সিকিউরিটি গার্ড পাহাড়ায় থাকে। সিসিটিভিও নেই। যে বাড়িতে ঘটনা ঘটছে তার পিছন দিয়ে আরেকটি এলাকায় যাতায়াত করা যায়।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন বলেন, ‘সকালে খবর পেয়ে আমাদের একটা মোবাইল টিম এখানে পরিদর্শনে আসে। ভুক্তভোগীদের কাছে জানতে পারি, দুর্বৃত্তরা সবাই খালি গায়ে ছিলো। তারা সংখ্যায় ১৫জনের মতো ছিলো বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা পরবর্তীতে এ বিষয়ে আইনগত সিদ্ধান্ত নেবেন।’