সারা বাংলা

ক্রেতা নেই, পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে হিলির আমদানিকারকরা

ক্রেতা না থাকায় পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। অনেক আমদানিকারকদের গুদামে পচে যাচ্ছে পেঁয়াজ। দেশি পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কম বলছেন তারা। 

তবে সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন আমদানীকারকরা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম না কমানোয় তারা পেঁয়াজ কিনতে আগ্রহী হচ্ছেননা।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে সরেজমিনে হিলি বন্দরের আমদানিককারকদের গুদাম ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি গুদামে প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে। প্রচণ্ড গরমে পচে যাচ্ছে আমদানীকরা এসব ভারতীয় পেঁয়াজ। তবে এ সময় গুদামগুলোতে কোনো পেঁয়াজের ক্রেতা দেখা যায়নি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব গুদামে ভিড় করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পেঁয়াজ নিতে আসা ক্রেতারা।আজ তার ভিন্ন চিত্র। 

জানা গেছে, প্রকারভেদে এখানে পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করে। ভারত থেকে আনা ভালো মানের পেঁয়াজ আমদানীকারকরা বিক্রি করছেন ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজিতে। তবে কিছুটা খারপ হয়ে যাওয়া পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে।

হিলির পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা কেজি পাইকারি দরে ব‌্যবসায়ীরা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। আবার এই বাজারেই দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। দুই তিনদিন আগেই এ বাজারে দেশী পেয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে।

ব‌্যবসায়ীরা জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজিতে। সেখানে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। 

হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ পাইকারি করছি। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৬০ টাকা কেজি দরে। দেশি পেঁয়াজের দাম কমে গেছে কিন্তু হিলি আমদানি কারকরা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমাচ্ছেন না।’ 

হিলি বন্দরের পেঁয়াজ আমদানীকারক মনোয়ার হোসেন চৌধুরী রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘তিন দিন যাবৎ পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে আছি। আমার অনেক পেঁয়াজ পচে গেছে। পচে যাওয়া পেঁয়াজ  ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার চেষ্টা করছি। কিন্তু কোনো ক্রেতা পাচ্ছি না। এছাড়া প্রচণ্ড গরমে পেঁয়াজ আরো পচে যাচ্ছে।’

এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত রোববার ৪২ গাড়ি পেঁয়াজ এই বন্দরে আমদানি হয়েছে। চাহিদা তুলোনায় আমদানি বেশি এবং দেশি পেঁয়াজের দাম কম হওয়াতে বন্দরে ক্রেতা কমে গেছে। যার কারণে পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা।’