দুই বছরের সাঁজা থেকে বাঁচতে ১১ বছর আত্মগোপনে ছিলেন টেম্পু চালক মোন্তাজ মল্লিক(৫৫)। আদালতের রায় ঘোষণার ১১ বছর পর বাগেরহাট সদর উপজেলার চাপাতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাপাতলা এলাকা থেকে মোন্তাজকে গ্রেপ্তার করে বাগেরহাট থানা পুলিশ। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
জানা গেছে, মোন্তাজ বাগেরহাট সদর উপজেলার চাপাতলা গ্রামের মৃত মিরাজ মল্লিকের ছেলে। তিনি রুপসা-বাগেরহাট পুরাতন সড়কে টেম্পু চালাতেন। ২০০৯ সালে পুরতন রুপসা-বাগেরহাট সড়কে দুর্ঘটনায় মারা যান এক পথচারি। ওই ঘটনায় মোন্তাজের নামে মামলা হয়। ওই মামলায় আদালত মোন্তাজকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর সাঁজা ভোগের ভয়ে মোন্তাজ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান।
দীর্ঘ ১১ বছর পলাতক থাকার পর মোন্তাজ সম্প্রতি বাড়ি ফেরেন। পরে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাপাতলা গ্রামের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার একটি (জিআর-১৩০/৯) সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় ২০১০ সালে মোন্তাজ মল্লিককে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। সাজার ভয়ে তিনি মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তান রেখে চট্টগ্রামে আত্মগোপনে চলে যান। সেখানে তিনি প্রথমে কিছু দিন দিনমজুরির কাজ করতেন। পরে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালাতেন।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, ২১ দিন আগে মোন্তাজ চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসেন। তবে গোপনে চলাফেরা করতেন। তার বাড়িতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।