তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, `বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্যে দেশের মানুষও হাসে, হনুমানও হাসে। সরকার নাকি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে, তিনি এমন বক্তব্য রেখেছেন। তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় কুমিল্লার ঘটনার পেছনে তাদের ইন্ধন ছিল।‘
শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, `মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কি বাংলাদেশের সব মানুষকে বোকা ভেবেছেন। তিনি মনে করেছেন এই কথা বলে বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানাবেন। এটিতে দেশের মানুষ যেমন হাসছে হনুমানও হাসে।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক শিমুল গুপ্তের সঞ্চালনায় ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি তানভীর হোসেন তপু। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনটির চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ রেজাউল করিম। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের এই দেশে শান্তি শৃঙ্খলা স্থিতি কোনভাবেই বিনষ্ট হতে দেবোনা। যারা বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যুক্ত বা এখনো যুক্ত আছে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে পাকিস্তান দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তাদের প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করে বলেন, মানব উন্নয়ন, সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সব সূচকে বাংলাদেশ আজকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে। মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে আমরা ভারতকেও পেছনে ফেলেছি।’
ছাত্রলীগ নেতা বিনির্মাণের কারখানা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে এবং পড়ালেখায় মনোনিবেশ করার জন্য হাতে বই খাতা এবং কলম তুলে দিয়েছিলেন। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে তিনি সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। ছাত্রলীগ করার পাশাপাশি লেখাপড়ায় যেন সবাই মনযোগী থাকে। ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে যেন লেখাপড়ার ক্ষতি নাহয় তিনি সবসময় সেই পরামর্শ দিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন, যুবলীগের সভাপতি আরজু সিকদারসহ প্রমুখ।