সারা বাংলা

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা ইকবাল কক্সবাজারে আটক

কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় জড়িত প্রধান সন্দেহভাজন ইকবাল হোসেনকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে দশটার দিকে তাকে আটক করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, তাকে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে আটক করা হয়। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে কুমিল্লায় পাঠানো হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে জানান, পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখার অভিযোগে আমরা যাকে খুঁজছিলাম তাকে আটক করতে পেরেছি। গোটা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

আটককৃত ব্যক্তি অভিযুক্ত সেই ইকবালই কিনা- সে বিষয়টি নিশ্চিত হতে পুলিশ তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চালায়। পরে নিশ্চিত হয় যে আটকৃত ব্যক্তি সেই ইকবাল।

ইকবাল কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বিতীয় মুরাদপুর-লস্করপুকুর (সুজানগর) এলাকার মাছ ব্যবসায়ী নূর আহম্মদ ওরফে আলমের ছেলে। ইকবালকে ধরতে গত কয়েক দিন ধরে জোর অভিযান চালিয়ে যাচ্ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

রাত ১১টার দিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ইকবালের মতো একজনকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সহায়তায় আটক করা হয়েছে। আমাদের টিম সেখানে রওনা দিয়েছে। আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখছি। এ ঘটনার বিস্তারিত শুক্রবার জানানো হবে।’

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ইকবাল হোসেনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সন্দেহভাজন ইকবাল মাদকাসক্ত। তার পরিবার দাবি করেছে, অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে ইকবাল কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন।

দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা চলাকালে গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ের ওই পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ পাওয়ার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ১৩ অক্টোবরের ওই ঘটনার পর গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকা ও কুমিল্লা পুলিশের কয়েকটি দল তদন্তে নামে।

তারা ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করেন। দীর্ঘ তদন্ত ও অনুসন্ধানের পর ইকবাল হোসেনের বিষয়ে নিশ্চিত হন তারা।