সারা বাংলা

একটি সড়কের জন্য চার গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নুরুজ্জামান পন্ডিত ও হাজী আজিজুল হক সড়কে ২০ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দীর্ঘ সময়ে রাস্তাটি কাঁচা থাকায় চার গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দাদের ভোগান্তির শেষ নেই। 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকা হলেও বর্তমান সরকারের প্রায় তের বছরেও সড়কটি সেই কাঁচাই থেকে গেছে।

চরকাঁকড়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের এ রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী। 

চরকাঁকড়া ইউনিয়ন ও বসুরহাট পৌরসভার সীমান্তঘেঁষা এক কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ এই সড়কে প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত। সড়ক সংশ্লিষ্ট চার গ্রাম শান্তিপাড়া, উকিলপাড়া, বিজয়নগর ও সিদ্দিকীয়া বাজারের অসুস্থ বৃদ্ধ ও প্রসূতিদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট ভোগ করতে হয়। অন্যদিকে প্রতিনিয়ত এসব গ্রামের শিক্ষার্থীদের কাদা মাড়িয়েই স্কুলে আসতে যেতে হচ্ছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ আলম বলেন, গত বছর সড়কটি পরিদর্শন করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন। তিনি একাধিকবার আশ্বাস দেয়ার পরও সড়কটি পাকা হয়নি।

জয়নাল নামে আরেকজন বাসিন্দা বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটেও চলাচল করা কষ্টদায়ক। শুকনো মৌসুমেও ভোগান্তির শেষ নেই। 

আরেক বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা। আমাদের এখানে কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স আসতে পারে না। বৃষ্টির মৌসুমে আমাদের সন্তানরা এই সড়ক দিয়ে স্কুল কলেজে যেতে খুবই সমস্যায় পড়ে। সড়কটির জন্য আমাদের কষ্টের শেষ নেই। এমনকি সড়কের কারণে মেয়েদের ভালো বিয়ের প্রস্তাব ফিরে যাচ্ছে।

চড়কাঁকড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সফি উল্যা বলেন, এ সড়কটি পাকা করার জন্য কয়েকবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা এই সড়কটির নাম কেটে দিচ্ছে। তাই সড়কটি পাকা করা হচ্ছে না।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়াারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, এই রাস্তাটি করে দেওয়ার জন্য আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছি। আশা করছি, শিগগির রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ হাতে নেওয়া হবে।