সারা বাংলা

ফরিদপুরে ইউপি নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষ, যুবক নিহত

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে উভয় প্রার্থীর অন্তত ২০ সমর্থক।

নিহত যুবকের নাম মারিজ সিকদার (৩০)। তিনি উপজেলার খারদিয়া গ্রামের সওরাফ সিকদারের ছেলে। 

শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম জানান, যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গত ১৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আব্দুর বর মোল্যা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তার বিপরীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন মো. রফিক মোল্যা ও নুরজ্জামান টুকু ঠাকুর। রফিক মোল্যা ও টুকু ঠাকুর খারদিয়া এলাকার একই দলের নেতৃত্ব দেন কয়েক বছর ধরে। তাদের বাড়িও একই গ্রামে।

গত এক মাস আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে রফিকের কাছ থেকে আলাদা হয়ে টুকু ঠাকুর নৌকার মনোনীত প্রার্থী বর মোল্যা ও তার সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর মিয়ার পক্ষে যোগ দেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগ প্রার্থী রব মোল্যার সমর্থক আলমগীর মিয়া ও টুকু ঠাকুরের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে খারদিয়া এলাকায় উভয় প্রার্থীর সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায় দুপুর ২টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সংঘর্ষ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি বসতঘরে ভাংচুর চালানো হয়। 

এতে মারিজ সিকদার, নাসির মোল্যা, রহিম মণ্ডল, রশিদ শেখ, সাকির মোল্যা ও টেপু শেখসহ উভয় প্রার্থীর অন্তত ২০ আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রফিকের সমর্থক মারিজ সিকদার মারা যায়। 

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমিনুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।