সারা বাংলা

বেগমগঞ্জের সহিংসতার ঘটনায় ১০ মামলায় গ্রেপ্তার ১২২  

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে গত ১৫ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখে ৮ জন ও তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও ৫ জনসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় ১০ মামলায় এখন পর্যন্ত ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার ( ২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। 

গ্রেপ্তাররা হলেন— সুবর্ণচর উপজেলার চরবহুলা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মো. ফরহাদ (২৬), চৌমুহনী পৌরসভার সাহাব উদ্দিনের ছেলে শামীম (২৭), জয়নাল আবেদিনের ছেলে রিপন (১৮), বাবুলের ছেলে দুলাল (৪০), ছয়ানীর ইউনিয়নের দেলোয়ারের ছেলে জুয়েল (১৯), কামরুল হাসানের ছেলে আরাফাত হোসেন আবীর (১৮), হাজীপুরের নুরুল হক ভূঁইয়ার ছেলে রাজীব (২৪) ও তাজুল ইসলামের ছেলে কামাল (৪৫)। এদের সবাইকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন— বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুরের আবদুস স্ত্তারের ছেলে শহীদ (৪৫), গণিপুরের এতিম আলীর ছেলে হুমায়ন (৬৩), আবুল কাশেমের ছেলে কাশেম বিন আবু জুবায়ের অরিন (২৫), মোস্তফার ছেলে ইমাম হোসেন রাজু (২৮) ও বাবুল মিয়ার ছেলে আলা উদ্দিন (৩৫)।

জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ওই দিনের হামলাটি পূর্ব পরিকল্পিত। হামলাকারীদের এক পক্ষ বাজারের প্রধান সড়কে থাকা পুলিশকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, আর ৭টি গ্রুপ একযোগে ৭টি মন্দিরে হামলা চালিয়েছে বলে আমরা বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হয়েছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে সহিংসতাকারিদের চিহ্নিত করে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বেগমগঞ্জে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০টি মামলায় ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।