সারা বাংলা

পীরগঞ্জে সহিংসতা: আদালতে ২ আসামির স্বীকারোক্তি

রংপুরের পীরগঞ্জে সহিংসতার মূল আসামি সৈকত আলী মন্ডল ও সহযোগী রবিউল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়াও সহিংসতার মামলার ৩৭ আসামির তিনদিনের রিমান্ড শেষে পুলিশ আদালতে তোলে। 

আদালতের সাধারণ নিবন্ধক শহিদুর রহমান জানান, রোববার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেন দুই আসামি সৈকত ও রবিউলের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে র‌্যাবের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

এদিকে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্যাতনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে থাকা ৩৭ আসামিকে বিকেলে আদালতে তোলা হয়। পীরগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান ও মামলার বাদী নতুন করে রিমান্ড আবেদন না করায় শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

সৈকত মন্ডলের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক সুদীপ্ত শাহীন জানান, র‌্যাবের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সৈকত ও তার সহযোগী রবিউলকে আদালতে হাজির করা হয়। তারা দুজনেই স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। 

পীরগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সৈকত মন্ডল ও তার সহযোগী বটেরহাট মসজিদের ইমাম রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র‌্যাব। পীরগঞ্জ থানায় রোববার (২৪ অক্টোবর) সকালে এই মামলা করেন র‌্যাব-১৩-এর ডিএডি আব্দুল আজিজ।

সৈকত ও তার সহযোগীর বিষয়ে শনিবার র‌্যাব জানায়, 'গ্রেপ্তারকৃতরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অরাজকতা তৈরি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের লক্ষ্যে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার এবং মাইকিং করে হামলাকারীদের জড়ো করেন বলে জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত সৈকত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক, বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণকে উত্তেজিত করে তোলেন।’

সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের তিনটি ও র‌্যাবের একটি মামলায় রোববার পর্যন্ত ৬৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। 

গত ১৭ অক্টোবর ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের মাঝাপাড়া ও বড় করিমপুর গ্রামের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।