সারা বাংলা

নরসিংদীতে ২৪ ঘণ্টায়ও সন্ধান মেলেনি ট্রেনের ধাক্কায় নিখোঁজ তরুণ অলির

নরসিংদীতে রেলসেতুতে ছবি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় শীতলক্ষ্যা নদীতে পড়ে নিখোঁজ তরুণ অলি মিয়ায় (১৮) সন্ধান ২৪ ঘণ্টায়ও মেলেনি। রোববার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর ঘটনাস্থলের আশপাশে নিখোঁজ অলি মিয়াকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা।

এছাড়াও অলি মিয়ার পরিবারের সদস্যরাও নদীতে নৌকা নিয়ে খোঁজাখুঁজি করছেন, কিন্তু কেউ-ই সন্ধান করতে পারেনি।

নিখোঁজ তরুণ নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বড়পাড়া গ্রামের মো. বজলুর রহমানের ছেলে। তিনি তার চাচার বাড়ি নরসিংদীর মাধবদীতে বেড়াতে এসেছিলেন।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে চারটায় ঘোড়াশাল নতুন রেলসেতুর মাঝামাঝি অংশে ছবি তুলতে গেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় শীতলক্ষ্যায় নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে ওই দিনই প্রথমে পলাশ ফায়ার সার্ভিস ও পরে টঙ্গীর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থল এসে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালালেও নিখোঁজ অলির সন্ধান পায়নি।

অলির পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ অলি মিয়া তার বন্ধু শাহজাহানকে সাথে নিয়ে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘোড়াশাল রেলস্টেশন এলাকায় ঘুরতে আসেন। এরপর ছবি তুলতে শাহজাহান ও অলি রেলসেতুর মাঝখানে যায়। এসময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী আন্তঃনগর উপকূল ট্রেন সেতুতে আসার পর শাহজাহান দৌড়ে একপাশে চলে যেতে সক্ষম হলেও অলি নিরাপদ স্থানে যেতে পারেননি। তিনি ট্রেনের ধাক্কায় শীতলক্ষ্যা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।

পলাশ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. হাদিউর ইসলাম শুভ জানান, আমরা পলাশ ফায়ার সার্ভিস ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবরি দল শনিবার সন্ধা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত নিখোঁজ তরুণ অলিকে খুঁজে পেতে শীতলক্ষ্যা নদীতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু  প্রবল স্রোতের কারণে সেদিন উদ্ধার কাজ ব্যাহত হওয়ায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বন্ধ রাখা হয়েছিল। এরপর রোববার সকাল ৯টা থেকে ফের উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত নিখোঁজ অলিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজও উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে পুনঃরায় আগামীকাল (আজ) সোমবার অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এদিকে নিখোঁজ অলির খোঁজে তার আত্মীয়-স্বজনরা দিনভর নদীর পাড়ে বসে থেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।