সারা বাংলা

শেরপুরে বিনা ভোটে পাশের পথে ৩ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান

আগামী ১১ নভেম্বরের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোটের আগেই নির্বাচিত হতে চলেছেন শেরপুর সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী। বাকি ১১ ইউনিয়নে বইছে ভোটের হাওয়া। 

বিনা ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাওয়া ইউনিয়ন তিনটি হচ্ছে- কামারেরচর, পাকুড়িয়া ও গাজীরখামার।

সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. হাবিবুর রহমান হাবিব তার ইউনিয়নে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় এবারও তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ নিয়ে তিনি টানা দুইবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও টানা তিনবারের মতো নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

অপরদিকে পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মো. হায়দার আলী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হতে চলেছেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে অন্য দুই প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাকুড়িয়া ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দফায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন তিনি।

এছাড়া গাজীরখামার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে বর্তমান চেয়ারম্যান আওলাদুল ইসলাম এর বিপক্ষে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওলাদুল ইসলাম ।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সমন্বয়ক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে কামারেরচর, পাকুড়িয়া ও গাজীরখামার ইউনিয়ন গুলোতে মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষে একজন করে প্রার্থী থাকায় তারাই চেয়ারম্যান হওয়ার পথে। 

সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে এবার আওয়ামী লীগের ১৪ জন, জাতীয় পার্টির ২ জন ও ইসলামী ঐক্যজোটের একজনসহ মোট দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১৭ জন। এছাড়া স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৪২ জন। ১৪ ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ৫৬৪ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১৯৯ জন।