সারা বাংলা

শীতের তীব্রতায় গরম কাপড় কেনার ধুম 

শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হবিগঞ্জে গরম কাপড় কেনার ধুম পড়েছে। জেলা শহরের পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গড়ে ওঠা গরম কাপড়ের মার্কেটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের লোকজন দলে দলে আসছেন। বিত্তবানরা যাচ্ছেন বিপণী বিতান ও মার্কেটগুলোতে।

এছাড়া, উপজেলা শহরের বিভিন্ন হাট বাজারে দোকানিরা গরম কাপড়ের দোকান নিয়ে বসেছেন। সামর্থ্য অনুযায়ী এসব স্থান থেকে লোকজন শীতের গরম কাপড় ক্রয় করছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও গরম কাপড় ক্রয় করতে পারছেন না হতদরিদ্র লোকেরা। তারা মনে করছে কেউ সাহায্য হিসেবে শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় বিতরণ করতে আসবেন।

জেলা শহরে আজমিরীগঞ্জ থেকে শীতবস্ত্র ক্রয় করতে আসা কামাল মিয়া বলেন, ‘শীত শুরু হয়েছে। বর্তমানেও করোনাভাইরাস চলমান আছে। তাই কোনভাবেই শরীরে ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না। খাবার গ্রহণে সর্তকতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। শীতের শুরুতেই গরম কাপড় ক্রয় করছি।’

জেলা শহরের কাপড়ের মার্কেটে আলাপ হয় লাখাই উপজেলার বুল্লার বাসিন্দা বাহার মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, বর্তমান সময়ে গরম কাপড় বেশি প্রয়োজন। ঠাণ্ডা থেকে রেহাই না পেলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে হবে। তাই ৫০০ টাকায় ৩টি গরম কাপড় ক্রয় করেছেন তিনি।

জেলা সংবাদপত্র হকার্স সমিতির সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক পত্রিকা বিক্রেতা রুবেল মিয়া বলেন, ‘শীত থেকে রেহাই পেতে গরম কাপড় ক্রয় করেছি। আমার মতো অনেক লোকেরা শীতবস্ত্র ক্রয় করছে।’ একই কথা জানালেন কলেজ ছাত্র সোহাগ মিয়া এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক ও চালক তারেক তালুকদার।

বিক্রেতা ফজলু মিয়া বলেন, ‘শহরে তেমন শীত নেই। গ্রামে রাতে শীত অনুভব হয়। কিন্তু পাহাড়ি এলাকায় বিকেল থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে। গরম কাপড় বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে পুরোদমে বিক্রি শুরু হতে আরো ১৫ দিন লেগে যাবে।’

আরেক বিক্রেতা রমিজ মিয়া জানান, সবেমাত্র শীতের দেখা মিলেছে। ঢাকা থেকে কিছু গরম কাপড় নিয়ে এসে তিনি বিক্রি শুরু করা হয়েছে। তবে পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়নি।

দেউন্দি চা বাগানের বাসিন্দা প্রতীক থিয়েটার সভাপতি সুনীল বিশ্বাস শায়েস্তাগঞ্জে গরম কাপড় ক্রয় করতে এসে জানান, বাগানে শীত জেঁকে বসেছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা না থাকায় দরিদ্র চা শ্রমিকরা গরম কাপড় ক্রয় করতে পারছেন না। তাই এদের পাশে সবাইকে দাঁড়ানোর জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।