সারা বাংলা

সম্পত্তির লোভে কুপিয়ে বাবার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করলো ছেলে

সম্পত্তি চেয়ে না পেয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে বাবার হাতের কব্জি কেটে ফেলেছে এক পাষণ্ড ছেলে। গুরুতর জখম অবস্থায় বাবা শহীদুল হক ওরফে সাধু (৭০) হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ঘটনার পর থেকে ছেলে হানিফ মিয়া (৪৫) পলাতক।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের উথলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকতেন ছোট ছেলে হানিফ মিয়া। বাবা থাকতেন বড় ছেলে গোলাম মোস্তফার সঙ্গে। মাঝে মধ্যেই কিছু ফসলি জমি নিজের নামে লিখে দেয়ার জন্য বাবাকে চাপ দিতেন হানিফ। কিন্তু আচার-আচরণ ভালো না হওয়ায় তাকে কোনও সম্পত্তি লিখে দেননি শহিদুল হক। এ কারণেই বাবার উপরে ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। এ নিয়ে বাবা-ছেলের প্রায়ই ঝগড়া হত। মঙ্গলবার সম্পত্তি না পেয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে হানিফ তার জন্মদাতা পিতাকে এলোপাথাড়ি কোপালে হাতের কব্জি কেটে পড়ে যায়।

শহিদুল হকের বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা বলেন, আব্বা সকালে বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎ ছোটভাই হানিফ মিয়া (৪৫) ছুরি নিয়ে আব্বাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। হানিফের হাতে থাকা ছুরির কোপে আব্বার হাতের কব্জি কেটে সেখানেই পড়ে যায়। এসময় দোকানে থাকা অন্যান্য লোকজন চিৎকার দিলে হানিফ দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আব্বাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। আব্বার অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক।

মাগুরা সদর থানার ওসি মঞ্জুর আলম বলেন, আমি এখন হাসপাতালে রয়েছি। গুরুতর জখম শহীদুল হকের চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় জড়িত ছেলে হানিফ মিয়াকে আটকের জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে।