সারা বাংলা

সুনামগঞ্জে ১৭টির মধ্যে ১৫টিতেই নৌকার ভরাডুবি

সুনামগঞ্জের সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৫টিতেই নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের একটিতেও আওয়ামীলীগীগের নৌকা বিজয়ী হতে পারেনি।

এর মধ্যে স্বতন্ত্র (বিএনপি) তিন, জাতীয় পার্টি দুই, জমিয়তে ইলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এক ও স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) তিনটিতে বিজয়ী হয়েছেন।

রোববার (২৮ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলা সম্মেলন কক্ষে বেসরকারিভাবে তাদেরকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা দেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়।

নির্বাচিতরা হলেন, শহরতলী কুরবাননগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বরকত। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩ হাজার ৫১টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামীলীগ মতোনীত প্রার্থী ছিলেন সামছু উদ্দিন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৯’শ ২ ভোট।  লক্ষণশ্রী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান (বিএনপি) প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ আনারশ প্রতীকে ২ হাজার ৯’শ ৫৭টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম  প্রতীদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রাথী আব্দুল মান্নান লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ২’শ ৪ ভোট। মোল্লাপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান (বিএনপি) প্রার্থী নুরুল হক মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩ হাজার৪’শ ২৮টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুছ সালাম ঘোড়া  প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১’শ ৯৯ ভোট।

রঙ্গারচর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান (বিএনপি) প্রার্থী আব্দুল হাই মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪ হাজার ৮’শ  ৩৫টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম  প্রতীদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফজুলুর রহমান লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ২’শ ২ ভোট। কাঠইর ইউনিয়নে জমিয়তে ইলামায়ে ইসলামের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুফতি শামছুল ইসলাম খেজুর প্রতীকে এক হাজার ৭’শ ৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম  প্রতীদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রাথী ফারুক মেনর লাঙল প্রতীকে ১ হাজার ৭’শ ৩৯ ভোট। গৌরারং ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সৌকত আলী লাঙল প্রতীকে ৬ হাজার ৯’শ ৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম  প্রতীদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রাথী শহীদুল ইসলাম অটোরিক্সা প্রতীকে  পেয়েছেন ৪ হাজার ৮’শ ৬৭ ভোট। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী রশিদ আহমদ লাঙল প্রতীকে ৫ হাজার ৮’শ ৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রাথী আব্দুল কাদির আনারশ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৬’শ ৮১ ভোট। সুরমা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী আমির হোসেন রেজা চশমা প্রতীকে ৫ হাজার ১’শ ৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম  প্রতীদ্বন্দ্বী ছিলেন তাজুল ইসলাম আনারশ প্রতীকে ২ হাজার ৭’শ ৭৪ ভোট।  মোহনপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী মইন উল হক ৩ হাজার ১’শ ৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকতম  প্রতীদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রাথী সীতেষ রঞ্জন দাস তালুকদার নৌকা প্রতীকে ৩ হাজার ৩০ ভোট।

এদিকে জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দুইটিতে নৌকা, তিনটিতে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রাথীরা বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ী চেয়ারম্যানরা হলেন, জয়কলস ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল বাছিত সুজন(ঘোড়া), পূর্ব-পাগলা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী(বিএনপি) মাসুক মিয়া(আনারশ), পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থী জগলুল হায়দার(নৌকা), পূর্ব-বীরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম(নৌকা), পশ্চিম-বীরগাঁও ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী(বিএনপি) লুৎফুর রহমান জায়গীদার খোকন(চশমা), পাথারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম(ঘোড়া), শিমুলবাক ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী শাহিনুর রহমান শাহীন(আনারশ) ও দরগাপাশা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী(বিএনপি) ছুফি মিয়া (চশমা)।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সুষ্ট ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে। সুনামগঞ্জে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন শেষ করা গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার।