সারা বাংলা

আজ পঞ্চগড় মুক্ত দিবস

পঞ্চগড় হানাদার বাহিনী মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর সাড়ে সাত মাস যুদ্ধ শেষে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয় পঞ্চগড়। 

দেশের মোট ৪টি মুক্ত অঞ্চলের মধ্যে পঞ্চগড় ছিলো অন্যতম। ১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পঞ্চগড় মুক্ত থাকলেও ১৭ এপ্রিল সকালে এসে দখলে নেয় পাক হানাদার বাহিনী। তারা পঞ্চগড়ে প্রবেশ করে পঞ্চগড় শহরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং নির্বিচারে গণহত্যায় মেতে ওঠে। তবে, তা মুক্তিকামী বাঙালিদের মনোবল ভাঙতে পারেনি। হতাশ না হয়ে দৃঢ় মনোবলে লড়াই চালিয়ে যান এ অঞ্চলের মুক্তিকামী মানুষেরা। 

মুক্তিযুদ্ধের সময় ঠাকুরগাঁও মহকুমার ৬ নম্বর সেক্টরের অন্তর্গত ছিলো পঞ্চগড়। এ সেক্টরটির বেসামরিক উপদেষ্টা হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন প্রদেশিক সদস্য অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। এছাড়াও অ্যাডভোকেট কমর উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন চৌধুরী, কাজী হাবিবর রহমান, আব্দুল জব্বার এ সেক্টরটির নেতৃত্ব দেন। 

সেসময় এ এলাকায় ৭টি কোম্পানির অধীনে ৪০টি মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ভারতে থেকে প্রশিক্ষিত হয়ে উত্তর পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত গেরিলা হামলা চালাতে থাকেন তারা। তুমুল যুদ্ধের এক পর্যায়ে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাড়াশি আক্রমনে ২৯ নভেম্বরে পঞ্চগড় ছাড়তে বাধ্য হয় পাকবাহিনী। 

সাড়ে ৭ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে পাক হানাদারবাহিনীর হাতে ৩৯ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ নাম না জানা অসংখ্য নিরিহ মানুষের জীবন ও অগণিত মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে হানাদার মুক্ত হয় পঞ্চগড়।