সারা বাংলা

ময়মনসিংহে ২৭ ইউপির মধ্যে নৌকা জয়ী ১৪টিতে

ময়মনসিংহের সদর, মুক্তাগাছা ও ত্রিশাল উপজেলার ২৭ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৪টিতে নৌকা, ১১টিতে স্বতন্ত্র এবং একটি ইউপিতে লাঙ্গল জয়ী হয়েছে। ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৭ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। 

মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দা শারমিন সুলতানা বলেন, দিনভর শান্তিপূর্ণ ভোট শেষে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৫ জন ও স্বতন্ত্র থেকে ৫ জন নির্বাচিত হয়েছেন।

মুক্তাগাছা উপজেলায় নির্বাচিতরা হলেন— কাশিমপুর ইউনিয়নে মো মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার নৌকা প্রতিক নিয়ে ১১ হাজার ৯৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ইফতেখার রছুল চৌধুরী আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৪১ ভোট।

কুমারগাতা ইউনিয়নে মো. আকবর আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে ১২ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনিসুর রহমান চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৬১৭ ভোট।

বাশাঢী ইউনিয়নে উজ্জল কুমার চন্দ নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৫৯ ভোট।  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মনজুর রশিদ সরকার চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ১২৯ ভোট। 

ঘোগা ইউনিয়নে শরীফ আহমেদ নৌকা প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ১১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. কামরুজ্জামান লেবু আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৭৫৩ ভোট।

তারাঢী ইউনিয়নে মো. মনিরুজ্জামান নৌকা প্রতীক নিয়ে ৭ হাজার ২০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ মোজাহিদ পেয়েছেন ৬ হাজার ২৮৪ ভোট।

বড়গ্রাম ইউনিয়নে মো. জাহান আলী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৭ হাজার ৩৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সিদ্দিকুজ্জামান নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ১২৪ ভোট।

দুল্লা ইউনিয়নে হোসেন আলী আনারস প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিরাজুল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৯ ভোট।

মোনাকোন ইউনিয়নে মো. শহিদুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে ৭ হাজার ৯০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সুলতান মাহমুদ মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৭০৪ ভোট।

দাওগাঁও ইউনিয়নে খন্দকার মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বাদশা অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ২৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাওলানা আব্দুল লতিফ আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৫ ভোট।

খেরুয়াজানী ইউনিয়নে মো. হারুন অর রশিদ টেবিল ফ্যান প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ১১৬ ভোট নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ১৭৫ ভোট।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদরের ৫ ইউপিতে নৌকা ৩টি, স্বতন্ত্র ১টি ও একটি লাঙ্গল জয়ী হয়েছেন।

অষ্টধার ইউপিতে এমদাদুল হক আরমান, বোররচরে ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম সাব্বির এবং কুষ্টিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম শামসুল হক কালু নির্বাচিত হয়েছেন। ঘাগড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র থেকে বিজয়ী হয়েছেন মো. সাইদুর রহমান এবং পরানগঞ্জে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আবু হানিফ সরকার।

ত্রিশাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আয়নাল হক বলেন, উপজেলার ৬টিতে নৌকা, ৫টিতে স্বতন্ত্র ও একটি ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। 

নৌকা প্রতিক নিয়ে বিজয়ীরা হলেন— ধানীখোলা ইউনিয়নে মামুনুর রশিদ সোহেল, আমিরাবাড়ী ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান হাবিব মাস্টার, কানিহারীর শহিদুল্লাহ মন্ডল, ত্রিশালের জাকির হোসেন, সাখুয়ায় ডা. আজিজ, বালিপাড়া ইউনিয়নে গোলাম আহমেদ বাদল। 

স্বতন্ত্র থেকে জয়ীরা হলেন, বৈলর ইউনিয়নে খন্দকার মশিউর রহমান শাহানশাহ, কাঁঠাল ইউনিয়নে নূরে আলম সিদ্দিকী আলম, হরিরামপুরে আবু সাঈদ, মঠবাড়ীতে আ. কুদ্দুস মন্ডল ও মোক্ষপুর ইউনিয়নে সামসুদ্দিন।