সারা বাংলা

কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার

কুমিল্লার আলোচিত কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ সময় ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমের সহযোগী শাখওয়াত হোসেন জুয়েল (৪৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

বুধবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাতে জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল জেলার নাঙ্গলকোটের গান্দাচি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর জানান, ২০১৪ সালে জুয়েল ও শাহ আলমের মধ্যে জেলখানায় বন্ধুত্ব হয়। ২২ ডিসেম্বর কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে হত্যার পরের দিন শাহ আলম নাঙ্গলকোটের গান্দাচি গ্রামে জুয়েলের বাড়িতে আশ্রয় নেন। শাহ আলম জুয়েলকে অস্ত্রগুলো নিরাপদে রাখতে বলেন। একদিন থাকার পর ২৪ নভেম্বর অস্ত্রগুলো রেখে পালিয়ে যান শাহ আলম। মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জুয়েলের বাড়িতে অভিযান চালায় কুমিল্লা জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ৭.৬৫ বিদেশি পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলবার, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। 

এ ঘটনায় বাদি হয়ে শাহ আলম ও জুয়েলকে আসামি করে নাঙ্গলকোট থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন কুমিল্লা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিমল দাস।

তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল স্বীকার করেছেন এগুলো কাউন্সিলর সোহেল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র। আমরা অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করবো। অপর আসামি শাহ আলমকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। 

মামলার বাদী এসআই পরিমল দাস জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।