সারা বাংলা

ঠাট্টার ছলে অণ্ডকোষে লাথি, মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শমসের

বগুড়ায় দিনমজুর শমসের আলী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এবং এই ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে হত্যা রহস্য উদঘাটনের বিষয়ে জানান বগুড়া পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন।

তিনি বলেন, সোমবার দিবাগত রাতে ঘটনার সাথে জড়িত আসামি মো. মোস্তফাকে (৪০) নীলফামারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার বাইশপুকুর গ্রামের সাহাবুল্ল্যাহর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের শিকার দিনমজুর শমসের আলী একই উপজেলার মৃত নহর উদ্দীনের ছেলে।

আকরামুল হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জানিয়েছেন, ঠাট্টার ছলে তিনি শমসের আলীর অণ্ডকোষে লাথি মারেন। এতে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শমসের। পরে মোস্তফা তার নাকে হাত দিয়ে শ্বাস প্রশ্বাস চলছে না বুঝতে পেরে পাশের একটি সবজির মাচা থেকে দড়ি এনে নিহত শমসেরের দুই হাত পেছনে বেধে এবং গলায় গামছা পেঁচিয়ে নদীর ধারে ফেলে পালিয়ে যান। পরে লাশ উদ্ধার হওয়ার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তিনদিন পর শমসেরের দাফন করা হয়। দাফনেও অংশ নেন মোস্তফা।

পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন আরও বলেন, মামলাটি একেবারেই ক্লুলেস ছিল। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আসামিকে গ্রেপ্তার এবং রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৯ জুন বগুড়া সদরের পাঁচ তারকা হোটেল মম ইন পার্কের পেছনে করতোয়া নদীর ধারে হাত বাঁধা এবং গলায় গামছা পেঁচানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশ শনাক্ত করে নিহতের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় পিবিআইকে। তারা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আসামিকে গ্রেপ্তার করে।