সারা বাংলা

মুক্তিযুদ্ধের নির্মম স্মৃতি ‘নির্যাতন-৭১’

চোখ বাঁধা অবস্থায় একজন নারীসহ তিন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর পাকিস্তানি সেনাদের নির্মম নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেছে এই ভাস্কর্য। তবে দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যটি রয়ে গেছে লোকচক্ষুর আড়ালে। স্থানীয় মানুষও তেমন জানেন না এই ভাস্কর্যের তাৎপর্য।

ভাস্কর্যটি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির মূল তোরণসংলগ্ন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে অবস্থিত।

ভাস্কর আশরাফের নকশায় প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ভাস্কর্যটি নির্মিত হয়েছে। ২০১৬ সালে বিজয় দিবসে এটি উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

ভাস্কর্যের সামনে গোলাকার বেদি। বেদির তিন পাশে তিনটি মুখাবয়ব। ভাস্কর্যটি আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে, তাদের বোধ নানাভাবে উজ্জীবিত করে। স্থানীয় মানুষের অভিমত এই ভাস্কর্য সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। অনেকেই এর ইতিহাস জানে না। অনেকটা অবহেলিত এই ভাস্কর্য। কারণ এটি নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি নেই, প্রচার নেই। 

লেখক ও সাংবাদিক ফারদিন ফেরদৌস জানান, একাত্তরে নির্যাতনের ভয়াল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে গৌরবের বিজয় অর্জন করেছে এ জাতি। অমানুষের নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে বিনির্মাণ করেছে ইতিহাস। এখন আর কারো পদাবনত নই আমরা। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে একজন অভিভাবক হিসেবে বিজয়ের সাহসী অর্জনই তো দেখাতে চাইব আমরা। নির্যাতন নয় বিজয়ের উজ্জীবন হোক আমাদের সংস্কৃতির মূল বন্দনা।