সারা বাংলা

কুয়াকাটার রাতের আকাশে ফানুসের মেলা 

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে ফানুস উড়িয়ে স্পেশাল ডে উদযাপন করেছে পর্যটকরা। ফানুসে ফানুসে ছেয়ে যায় কুয়াকাটার রাতের আকাশ। 

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাতে এই ফানুস ওড়ানোর আয়োজন করে।  

সৈকতের জিরো পয়েন্টে শতাধিক ফানুস আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় পুতুল নাচ ও  শিল্পীদের নাচে গানে মেতে ওঠেন সৈকতে আগত পর্যটকসহ স্থানীয়রা। এর আগে সকালে র্যালি, আলোচনা সভা, ঘুড়ি উৎসব ও কাবাডি প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। 

এসব আয়োজনে পর্যটকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। কুয়াকাটায় আগত পর্যটদের বিনোদন দিতেই এই আয়োজন করা হয়। 

ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় আসা রাসেল-রাবেয়া দম্পতি বলেন, সৈকতে এই মনোরম আয়োজন আসলেই আমাদের মুগ্ধ করেছে। এভাবে এই আয়োজনে আমরা উপস্থিত থাকবো সেটা ভাবতেই পারিনি। সৈকতের ঢেউয়ের গর্জনের সঙ্গে নাচ গান মজার একটা ব্যাপার। 

বরিশাল থেকে আসা রহমান মিয়া বলেন, সৈকতের আকাশে একের পর এক ফানুস ছাড়া হয়েছে। দূর থেকে দেখে মনে হয়েছে আকাশের তারা নিচে নেমে এসেছে। দিনব্যাপী টোয়াকের এই আয়োজনে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি। প্রতি বছর এই মনভোলানো আয়োজন করার অনুরোধ জানাচ্ছি।   

টোয়াকের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, করোনাকালীণ দীর্ঘ দিনের জড়তা কাটিয়ে এ আয়োজনে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন পর্যটকসহ স্থানীয় ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা। দিনব্যাপী নানা আয়োজন ছিলো। এসকল ইভেন্টে সরাসরি পর্যটকরা অংশ নিয়েছেন। প্রত্যেক ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। 

টোয়াকের প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, এ এক অন্য রকম স্পেশাল ডে। টোয়াকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষেই এই আয়োজন করেছি। সৈকতে এমন আয়োজন আর কখনো হয়নি। টোয়াক সদস্য, ট্যুরিজম ব্যবসায়ী এবং পর্যটকরা দিনটি মনের মতো করে উদযাপন করেছেন। সকলের সহযোগিতায় প্রতি বছর এই দিনে এই আয়োজন করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।