সারা বাংলা

আদি বাসিন্দারা আজকে ভালো নেই : হরিশংকর জলদাস

বঙ্গ নামের এই ভূমির আদি বাসিন্দারা আজকে ভালো নেই। সমাজের মূল স্রোতধারার সাথে তাল মেলাতে না পেরে তারা দিন দিন আরও প্রান্তিক হয়ে যাচ্ছে। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মুক্তির প্রধানতম পথ হচ্ছে শিক্ষিত হওয়া। তারা নিজেরা শিক্ষিত না হলে যতই সরকার ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো কাজ করুক না কেন কোনো লাভ হবে না।

বলেছেন খ্যাতনামা উপন্যাসিক ও কথা সাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস। তিনি বুধবার (১ ডিসেম্বর) নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ধনজইল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত আদিবাসী সমাবেশ ও সংস্কৃতি মেলায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নওগাঁ-৩ আসনের এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার। 

সমতলের আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যক সম্পর্কে সমাজের মূল ধারার মানুষকে সংবেদনশীল করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশ ও সংস্কৃতি মেলায় সভাপতিত্ব করেন পল্লী সহযোগী বিষয়ক সংস্থার (আরকো) সভাপতি শাহিন মনোয়ারা হক।

দাতা সংস্থা হেক্স-ইপারের সহায়তায় আরকো তাদের ইটুজিআই প্রকল্পের আওতায় এই সমাবেশের আয়োজন করে। দিনব্যাপী এই আদিবাসী সমাবেশ ও সংস্কৃতি মেলায় সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মানুষের বৈচিত্রময় জাতিসত্তার জীবন-জীবিকা ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হেক্স-ইপারের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোরা চৌধুরী,  আরকোর নির্বাহী পরিচালক সজল কুমার চৌধুরী, মহাদেবপুরের নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সবিন চন্দ্র মুণ্ডা প্রমুখ।

মেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরতে ৯টি স্টলে তাদের সম্প্রদায়ের কৃষি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, জীব-জন্তু শিকারের হাতিয়ার, গয়না, কাপড়, তৈজষপত্র, খাবার, কলা, স্থাপত্য ও ভৌত-অভৌত পরিকাঠামো, অবকাঠামো, কারুকার্য ও অন্যান্য ঐতিহ্যসম্বলিত জিনিসপত্রের প্রর্দশন করেন।  

এ ছাড়াও আরকোর সহায়তায় তাদের কর্ম এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীদের উৎপাদিত উপকরণ ১টি স্টলে প্রদর্শন করা হয়।

বিকেলে সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংখ্যাধিক্য বিবেচনায়  সাঁওতাল, উড়াও, পাহান, মুণ্ডাসহ ১০টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জাতিসত্তার সাংস্কৃতিক দল ও দুটি বাঙালি সংস্কৃতিক দল তাদের নিজ নিজ সংস্কৃতি তুলে ধরে নাচ ও গান পরিবেশন করেন।