সারা বাংলা

আনন্দ মোহন কলেজে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, হল বন্ধ ঘোষণা

ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলেজটির অর্থনীতি বিভাগের সহকারী প্রভাষক ও হল সুপার মো. কামরুল হাসান। 

কামরুল হাসান বলেন, ‘কলেজের কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে মিছিল করে। এ সময় অন্য আরেকটি গ্রুপের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে শনিবার সন্ধায় কলেজের সব হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্র ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হল বন্ধ থাকবে। 

গত শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে আনন্দ মোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ইউনিটটি জেলা ছাত্রলীগের অন্তর্গত ইউনিট হিসেবে বিবেচিত হবে বলে সংঠনটির কেন্দ্র থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মহানগর ছাত্রলীগের অনুসারীরা আন্দোলনে নামে। 

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করে জেলা ছাত্রলীগ। এ নিয়ে শনিবার দিনভর কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। 

ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক নওশেল আহম্মেদ অনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আনন্দ মোহন কলেজের ছাত্ররা মহানগর ছাত্রলীগের সঙ্গে একত্রে করছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল মহানগর ছাত্রলীগের নেতৃত্বেই আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগ থাকবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন সিদ্ধান্তের পর ছাত্ররা হতাশ হয়ে আন্দোলন করছে। তবে এই আন্দোলনের সাথে মহানগর ছাত্রলীগ জড়িত নই। 

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসেন বলেন, ময়মনসিংহ শহরে ছাত্রলীগের বসার মতো কোন জায়গা নেই। বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদের আওতায় আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগের ইউনিটটি দিয়েছে। তবে এই বিষয়টাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। ককটেল ফাটানোসহ অনেকের উপর তারা হামলাও করেছে।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, নেতৃত্ব নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুইজন শিক্ষকসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।