সারা বাংলা

কন্যার সামনে মাকে ধর্ষণ, এসআই গ্রেপ্তার 

খুলনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কর্তৃক শিশু কন্যার সামনে অসুস্থ মাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক সংলগ্ন লেয়ার যশোর রোডস্থ সুন্দরবন আবাসিক হোটেলের ৩১৩নং রুমে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের শিকার বাগেরহাটের মোংলার বাসিন্দা অসুস্থ ওই নারী তার ১১ বছরের শিশু কন্যা ও ভাগ্নেকে সঙ্গে নিয়ে খুলনায় ডাক্তার দেখাতে আসেন।

গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীর আলম খুলনা মহানগর গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত ছিলেন। তিনি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. আতিয়ার রহমানের ছেলে।

এ ঘটনায় ওই নারীর দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি তার ১১ বছরের শিশু কন্যা ও ভাগ্নেকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) খুলনায় ডাক্তার দেখাতে আসেন। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় ডাক্তারের সিরিয়াল না পেয়ে তারা বাধ্য হয়ে নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক সংলগ্ন লেয়ার যশোর রোডস্থ সুন্দরবন আবাসিক হোটেলে ওঠেন। ওই নারী তার মেয়েকে নিয়ে হোটেলের তৃতীয় তলার ৩১৩নং রুমে এবং তার ভাগ্নে ছিল ৩০৮নং রুমে। রাত সোয়া ২টার দিকে ডিবির এসআই জাহাঙ্গীর আলম হোটেলের বয় গোলাম মোস্তফাকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ পরিচয়ে তাদের রুমের দরজা্ খুলতে বলেন। তখন তিনি দরজা খুলে দিলে তারা ভিতরে প্রবেশ করে ওই নারীর কাছে জানতে চান সঙ্গে থাকা মেয়েটি তার কী হয়। এ সময় তিনি তার মেয়ে পরিচয় দিলেও এসআই জাহাঙ্গীর তা মানতে চাননি। এক পর্যায় তিনি হোটেল বয়কে ধমক দিয়ে বাইরে বের করে দিয়ে ওই রুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন। দরজা বন্ধ করে দিয়ে তাকে মেয়ের সামনে ধর্ষণ করেন।

এ সময় মা-মেয়ের চিৎকার ও কান্নাকাটি শুনে হোটেলের অন্যান্য লোকজন এবং তার ভাগ্নে চলে আসলে এসআই জাহাঙ্গীর বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তারা জাহাঙ্গীরকে আটকে রেখে হোটেল মালিক ও পুলিশে খবর দেন। তাৎক্ষণিকভাবে সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, ভুক্তভোগীর দায়েরকৃত মামলায় এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

জাহাঙ্গীর একমাত্র আসামি হওয়ায় এবং ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা থাকায় রিমান্ডের আবেদন করা হয়নি বলেও জানান ওসি।