সারা বাংলা

সাভারে ভাড়া বাসায় প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ

ঢাকার সাভারে ভাড়া বাসার নিজ কক্ষ থেকে এক প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, মারুফাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে তারই চাচাতো দেবর।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর মাধব চন্দ্রের মালিকানাধীন বাড়ির একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মারুফা বেগম পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার জাটিবুনিয়া গ্রামের মো. মোস্তফার মেয়ে। তার স্বামী কুয়েত প্রবাসী আল আমিন। একমাত্র শিশু সন্তানকে নিয়ে আশুলিয়ার নরসিংহপুর মাধব চন্দ্রের বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় নিহত ওই নারী কাজ করতেন বলে জানা গেছে। 

নিহতের মামী আসমা বেগম বলেন, আমি একটা গার্মেন্টসে চাকরি করি। সম্পর্কে আমি মারুফার মামী। মারুফার স্বামী বিদেশ থাকে। তার চার বছরের ছেলেকে নিয়ে সে এই বাসায় ভাড়া থাকে। আর এগারো বছরের মেয়ে থাকে গ্রামে দাদার বাড়িতে। আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় মারুফা মারা গেছে জানতে পেরে অফিস থেকে ছুটে আসি। তখন মারুফার ছেলের কাছে শুনছি ঘটনা। মারুফার চাচাতো দেবর হাসিব না কি প্রতিদিন দুপুরে খাবার খেতে আসতো। আজ দুপুরেও সে মারুফার বাসায় এসেছিলো। তখন মারুফার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে মারফাকে গলা টিপে হত্যা করে বাইরে থেকে দরজার সিটকিনি আটকে পালিয়ে যায় সে। পরে মারুফার ছেলে কান্নাকাটি করলে প্রতিবেশীরা এসে দরজা খুলে মারুফাকে নিথর অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাচিব সিকদার বলেন, রাতে স্থানীয়দের খবরে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। নিহতের কক্ষের দরজাও খোলা অবস্থায় ছিলো। প্রাথমিকভাবে ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।