সারা বাংলা

কাউন্সিলর সোহেল হত্যা: ‘হিট স্কোয়াডে’ থাকা নাজিমের স্বীকারোক্তি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও তার সহযোগী আওয়ামীলীগ কর্মী হরিপদ সাহা (৫৫) হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন হিট স্কোয়াডে থাকা সন্ত্রাসী মো. নাজিম ওরফে পিচ্চি নাজিম (৩০)। নাজিম নগরীর শুভপুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক শাহেন আরা আক্তারের কাছে হত্যার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।

জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস বলেন, নাজিম তিনদিনের রিমান্ডে থাকাকালে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়। বুধবার সন্ধ্যায় নাজিমের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জবানবন্দিতে নাজিম বলেছেন, তিনি সরাসরি হত্যায় অংশ নিয়েছেন এবং গুলি করেছেন।

গত সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতায় নিজ এলাকা থেকে নাজিম এবং হিট স্কোয়াডে থাকা অপর সদস্য মো. রিশাত ওরফে নিশাতকে (২৫) গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। 

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এজাহারবহির্ভুত এ দুজনকে আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে দুপুর থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়।

গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। বুধবার পর্যন্ত এ মামলায় এজাহারনামীয় সাতজন ও সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব। বন্দুকযুদ্ধে এজাহারনামীয় তিন আসামি মারা যায়। আর পলাতক রয়েছেন ১১ নম্বর আসামি রনি।