সারা বাংলা

বান্দরবানে পর্যটকের ভিড়ে হোটেল পূর্ণ, গাড়িভাড়া দ্বিগুণ 

টানা তিনদিনের (১৬, ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর) ছুটিতে বান্দরবানে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটায় হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের কক্ষ খালি নেই। ফলে হোটেলের সন্ধানে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের অলিগলিতে পর্যটকদের ঘুরতে দেখা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পর্যটন জেলা বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে যেকোনো সরকারি ছুটিতে হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে যায়। আর শীত মৌসুমে পর্যটকের সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়ে। এর ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। ফলে রীতিমত জেলা শহরের নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে আধাকিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোগান্তিতে পড়ে পর্যটকরা। পর্যটকের আগমনের তুলনায় হোটেল, মোটেল গড়ে না উঠার কারণে বেকায়দায় পড়তে হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের।

আরও জানা গেছে, বান্দরবান শহরে হোটেল মোটেল মালিক সমিতির আওতাভুক্ত ৫৫টি হোটেল থাকলেও কোনো হোটেলে এখন সিট খালি নেই। শুধু হোটেল নয়, ঘুরে দেখার জন্য পর্যটক বহনকারী চাঁদের গাড়ি (জিপ) পাওয়া যাচ্ছে না। এই সুযোগে একটি চাঁদের গাড়ি জেলা শহর থেকে নীলগিরি যেতে সাড়ে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা ভাড়া নিলেও এখন সেই ভাড়া নিচ্ছে ৭ হাজার টাকা।

ঢাকা থেকে আসা আব্দুল হাকিম বলেন, ‘বান্দরবানে গাড়িভাড়া দেখে বিস্মিত হয়েছি। মাত্র ৪০-৪৫ কিলোমিটার ভ্রমণে যেতে ৭ হাজার টাকা নিয়েছে। এভাবে হলে বান্দরবানে পর্যটকরা দ্বিতীয় বার আসবে না।’ 

বান্দরবানের হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ জানান, বিজয় দিবস বৃহস্পতিবার, এর সঙ্গে শুক্র ও শনিবার বন্ধ পেয়ে কয়েক হাজার পর্যটকের আগমন হয়েছে। এতে জেলা সদরে হোটেলে রুম খালি নেই। দীর্ঘদিন পরে জমজমাট হয়েছে বান্দরবান। 

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বান্দরবানের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, জেলা শহরের মেঘলা, নীলাচল, প্রান্তিক লেকসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে হাজার হাজার পর্যটক। এতে খুশি আবাসিক হোটেলের মালিক, কর্মচারীরা। এর ফলে করোনাকালীন ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছেন। 

বান্দরবান ট্যুারিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. আমিনুল হক বলেন, পর্যটকেরা যাতে বান্দরবানে সব স্পট ভ্রমণ করে আবার নিরাপদে ফিরে যেতে পারে, সেজন্য ট্যুারিস্ট পুলিশের সদস্যরা নিয়মিত তদারকি অব্যাহত রেখেছে।