সারা বাংলা

কম্বল পেয়ে খুশিতে আত্মহারা আশি বছর বয়সী আমেনা

অন্যের বাড়িতে বাড়িতে খাবার চেয়ে চলে তার পেট। বয়সের ভারে নুয়ে গেছে শরীর। চামড়া কুচকে গেছে। শীতে ফেটে গেছে ঠোঁট অনেকটা। তীব্র শীতে গরম কাপড়ের অভাবে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাকে। অনেকের কাছে ধর্না ধরেও পাননি শীত নিবারণের কাপড়। 

এই দুঃসময়ে একটি কম্বল পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হলেন আশি বছর বয়সী আমেনা খাতুন। 

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কলাপাড়া পৌরসভার সামনে কম্বল বিতরণ করছিলেন পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এমপি মহিব্বুর রহমান মহিব। এ সময় আমেনা খাতুন হাজির হয়ে অসহায়ত্বের কথা জানালে এমপি তার হাতে একটি কম্বল তুলে দেন। 

আমেনা খাতুনের স্বামী মৃত হাকিম ফরাজী। ছেলে মেয়ে থাকতেও খবর রাখেন না তার। তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের কলবাড়ি সংলগ্ন আবাসনে থাকেন। 

শুধু আমেনা খাতুনই নয় এভাবে নিজস্ব অর্থায়নে কলাপাড়া পৌর শহরের ৫ শতাধিক হতদরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন এমপি মহিব। এ শীত মৌসুমে প্রথবারের মতো কম্বল পেয়ে হাসি ফুটেছে শীতার্ত অসহায় মানুষের মুখে। 

এদিন এমপি মহিব দুই হাজার কম্বল বিতরন করেছেন।  এর আগে তিনি ধুলাস্বার ইউনিয়নের দেড় হাজার মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।

কম্বল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল হাওলাদার, ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির, ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান ও ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খাইরুল হাসনাত খালিদসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।

সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান মহিব বলেন, শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণে প্রতিবছরই কম্বল বিতরণ করে থাকি। এরই ধারবাহিকতায় দুই হাজার কম্বল বিতরণ করেছি। এ বছর রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়া উপজেলায় ১০ হাজার অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। এর বাইরে কোন অসহায় শীতার্ত মানুষ হাজির হলে তাদেরকেও সআয়তা করা হবে। মুজিববর্ষে অসহায় কোন মানুষের যেন শীতে ভোগান্তি না পোহাতে হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল থাকবে।