সারা বাংলা

কক্সবাজারে ধর্ষণ: গ্রেপ্তার আরও ৩

কক্সবাজারে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় আরও ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে অভিযুক্ত হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে  রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ধর্ষণ মামলার ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা করা হয়েছে।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জিল্লুর রহমান।

যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- রেজাউল করিম, মামুনুর রশিদ ও মেহিদী হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে এসপি বলেন, জবানবন্দিতে ওই নারী যাদের নাম বলেছেন, তাদের মধ্যে ৩ জনকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম আশিকসহ বাকিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা ওই নারী কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হামীমুন তানজীনের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

জবানবন্দিতে ওই নারী জানান, তার ৮ মাস বয়সী শিশুর হার্টে ছিদ্র রয়েছে। তার চিকিৎসায় ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। টাকা জোগাড় করতে তিনি কক্সবাজার এসেছেন। গত ৩ মাস ধরে শহরের অন্তত ৭টি হোটেলে অবস্থান করেছেন।

তিনি আরও জানান, তাকে বুধবার রাত ৮টার দিকে সৈকত পোস্ট অফিসের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে যাওয়া হয়।  সেখানে আশিকের দুই বন্ধু তাকে ধর্ষণ করে।  এরপর আশিক তাকে আবার মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় কলাতলী এলাকার জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। তাকে নিয়ে ওই হোটেলের একটি কক্ষে উঠেন আশিক।  তবে সেখানে তাকে ধর্ষণ করার সুযোগ পাননি আশিক।  তার আগেই একটি ফোন কলে পুলিশের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে আশিক কক্ষ থেকে চলে যান। তিনি হোটেল কক্ষ থেকে বের হয়ে পর্যটন মোটেলের সামনের সড়কে আসেন। সেখানে স্বামীকে দেখতে পান র‍্যাবের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলতে।  র‍্যাব তাকে নিয়ে হোটেল জিয়া গেস্ট ইন এ আসে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ওই নারী অভিযোগ করেছিলেন, আগের দিন বুধবার বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে তারা বেড়াতে যান।  সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা কাটাকাটি হয়।  এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক।  পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন।

এরপর তাকে নেওয়া হয় কলাতলীতে জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে কক্ষ বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।  পরে র‍্যাব এসে তাকে উদ্ধার করে।