সারা বাংলা

শাবাত হত্যার ২ বছর: মৃত্যুর আগে বিচার দেখে যেতে চান মা

কুমিল্লার আলোচিত শাবাত খান হত্যার ঘটনার প্রায় ২ বছর হতে চললেও এখনো ধরা পড়েনি খুনিরা। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে খুনিদের দ্রুত বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শাবাতের মা কুমিল্লা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ রাফিয়া আক্তার ডেইজি।

তিনি বলেন, দুই বছর পার হলেও এখনো শাবাতের খুনিরা ধরা পড়েনি। দীর্ঘ এই সময় আমরা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি। শাবাতের বাবা লিয়াকত আলী খান সন্তানের শোকে অসুস্থ হয়ে গেছেন। মৃত্যুর আগে সন্তান হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখে যেতে চাই।

সূত্র মতে, শাবাত কুমিল্লা নগরীর মুন্সেফ কোয়ার্টার এলাকার ডা. লিয়াকত আলী খানের ছেলে। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি জেলার আদর্শ সদর উপজেলার গোমতী নদীর পালপাড়া ব্রিজের নিচে দু’হাতে স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় শাবাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

শাবাতের মা রাফিয়া আক্তার ডেইজি বলেন, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি শাবাত। বের হওয়ার সময় মোবাইলফোন, মানিব্যাগ কিছুই নেয়নি। কেবল চাবির রিং ছিল। পরদিন সকালে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পারি ছেলের মরদেহ ভাসছে গোমতী নদীতে।

সংবাদ সম্মেলনে শাবাতের বড় বোন ডা. শারমিন খান বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সব রকম তথ্য-উপাত্ত দিয়েছি। তারা বলছেন কাজ করছেন। তবে দুই বছর পার হলো এখনো কোন কূলকিনারা হয়নি।

শাবাত খানের বাবা ডা. লিয়াকত আলী খান বলেন, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি শাবাতকে খুন করা হয়। দুই জানুয়ারি ১০ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করি। ওই সময় তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শাহীন কাদির। ১০ দিন পর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। এখন মামলার তদন্ত করছেন কুমিল্লা পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান।

মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি হত্যার রহস্য উন্মোচনের জন্য।