সারা বাংলা

পাংশায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

পঞ্চম ধাপে আগামী ৬ জানুয়ারি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন। এ উপলক্ষে এসব ইউনিয়নে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা।

এলাকাজুড়ে আওয়মী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানার ছেয়ে গেছে নির্বাচনি এলাকা।  তবে এ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না নির্বাচন অফিসের দেওয়া অনেক বিধি-নিষেধ। 

পাংশা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরোজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশা ভেজা সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের দিচ্ছেন নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি। প্রার্থীদের ব্যানার পোষ্টারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। 

তবে, নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চলছে প্রচারণা। নির্বাচন কমিশনের আইন রয়েছে প্রার্থীদের পোষ্টার রশি দিয়ে টানানোর কথা। কিন্তু সেটা কেউই মানছে না। স্কুলের দেওয়াল, ঘরের দেওয়াল, ঈদগাহ ময়দানের দেওয়াল, শৌচাগার, গাছেও প্রার্থীদের পোষ্টার লাগানো হয়েছে। তবে প্রার্থীদের দাবি তারা আচরণবিধি মেনেই পোষ্টার লাগাচ্ছেন। এছাড়াও মিছিল বা শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ থাকলেও বাহারি ঢঙ্গের মিছিল বা শোভাযাত্রা দেখা যায় নির্বাচনি এলাকায়।

পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হুমায়ূন কবির শাকিল বলেন, নির্বাচনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট কেউ আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন না। তবে, অতি উৎসাহী কোনো সমর্থক এরকম করতে পারে।

তিনি আরও জানান, তার কর্মীরা বিধি মেনেই নির্বাচনি প্রচার চালাচ্ছে।  কেউ যেন দেওয়াল বা গাছে পোষ্টার না লাগায় সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

একই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সজীব হোসেন জানান, তিনি ও তার কর্মীরা নির্বাচনি আচরণবিধি মেনেই পোষ্টার লাগিয়েছেন।  দেওয়াল বা গাছে কোনো পোষ্টার লাগানো হয়নি।  তবে, এরকম হয়ে থাকলে তা করতে নিষেধ করবেন বলে জানিয়েছন।

হাবাসপুর ইউনিয়নের মো. আমজাদ মণ্ডল বলেন, টিনের ঘরে পোষ্টার লাগানো হয়েছে।  কিছুদিন পরে দেখা যাবে টিনে মরিচা ধরেছে।

বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মো. মাজেদ হোসেন বলেন, গ্রাম এলাকায় অনেকেই এসব নিয়ম মানে না।  নির্বাচন আসা মানেই উৎসব।  সবাই খুবই উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে থাকে। তাই, ঘরে টিনে পোষ্টার লাগাই।  আমরাও কিছু বলি না।

পাংশা ইউনিয়নের ১০ ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে ৪৯ জন।  সাধারণ মেম্বার প্রার্থী ৩৩৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থী ১০৭ জন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, প্রতিটা উপজেলায় রির্টানিং কর্মকর্তারা রয়েছে। সেই সঙ্গে কাজ করছে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট। অচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন তারা।